কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নে শিহর গ্রামে ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মৎস্য প্রজেক্ট খনন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আব্দুল মতিন চৌধুরী ২ মার্চ কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ওই ফসলী জমিতে কোন ধরণের প্রজেক্টের কাজ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিহর গ্রামের চার দিকে বিস্তীর্ণ চির সবুজের মাঠ। ওই মাঠের মধ্য খানে শিহর মৎস্য খামার নামে একটি প্রজেক্ট করার উদ্দেশ্যে প্রায় ১৪শত একর জমি কৃষকের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন মন্নারা গ্রামের মরহুম জয়নাল আবেদীনের ছেলে রিসাত, শিহর গ্রামের আলী হোসেন চৌধুরীর ছেলে রাজিব ও রিয়াদ ও সায়েদুল হক চৌধুরীর ছেলে মিলন চৌধুরী। এর মধ্যে ফসলি জমি কেটে পাড় নির্মাণের কাজ চলছে।
ওই প্রজেক্টের ভিতরে আব্দুস ছোবহান চৌধুরীর ৬৬ শতক, আব্দুল মতিন চৌধুরীর ৪৫ শতক, তৈয়ব চৌধুরীর ৪২ শতক, প্রবাসী জন্টু মিয়া, মন্টু মিয়া ও জহিরের ১ শত ৭০ শতকসহ মোট ২শত ৮১ শতক ফসলি জমি রয়েছে। জোরপূর্বক ওই জমিতে প্রজেক্ট করছেন তারা। এ নিয়ে আব্দুল মতিন চৌধুরী ২ মার্চ কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাড় নির্মাণ কাজ করছের তারা। এভাবে মৎস্য প্রজেক্ট হতে থাকলে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে এ উপজেলায় খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শিহর গ্রামের মৃত. শফি আহাম্মদ চৌধুরীর স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, ওই মাঠে তাদের প্রায় ১ শত ৭০ একর ফসলী জমি রয়েছে। ওই জমির ধান দিয়ে তাদের সংসার চলে। একমাত্র ওই জমিতে রিসাত, রাজিব ও রিয়াদ, মিলন চৌধুরী ভেক্যু মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক মৎস প্রজেক্টের পাড় নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত শিহর প্রজেক্ট নির্মাণকারী মিলন চৌধুরী বলেন, আমার জায়গায় মৎস্য প্রজেক্টের জন্য পাড় নির্মাণের কাজ করছি। আমরা তাদের কোনো জায়গা দখল করিনি।
নাঙ্গলকোট থানার এস আই আক্তার হোসেন বলেন, আদালত কর্তৃক প্রেরিত মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রঃ পূর্বপশ্চিমবিডি
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com