ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ প্রকাশিত হলো ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল। চূড়ান্ত ফলাফলে ২৩২৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এবারের ফলাফলে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন ডা. সুবর্ণা শামীম আলো। এরপর থেকেই শুরু এ নিয়ে বিতর্ক। ফেসবুকে বির্তকটি তৈরি হওয়ার পিছনে দাবি করা হচ্ছে, বিভিন্ন ক্যাডারে বৈষম্য থাকার দরুন এখন প্রফেশনালরা জেনারেল ক্যাডারের দিকে ঝুকছেন। আবার একপক্ষ প্রফেশনালদের (এক্সপার্ট) জেনারেল ক্যাডারে আসার জোর বিরোধিতাও করছেন। আবার ডাক্তারদের পক্ষটি প্রথম পক্ষের দাবিকে খণ্ডন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন জোরালোভাবে।
উল্লেখ্য, ডা. সুবর্ণা শামীম আলো রাজধানী ঢাকার ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের’ ৩৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৩ সালে এমবিবিএস পাশের পর বিসিপিএস থেকে শিশু বিভাগে এফসিপিএস-পার্ট ১ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিশু বিভাগে এমডি কোর্সে অধ্যয়নরত আছেন তিনি।
তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়। ডা. সুবর্ণা শামীম আলো হোমনা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক মোল্লার ছোট মেয়ে। ইতোপূর্বে তিনি স্থানীয় কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি-তে উত্তীর্ণ হন।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের জেনারেল ক্যাডারের বিরোধিতা করে আলাল হোসাইন আবির নামের একজন লিখেন- একজন ডাক্তার হয়েছেন পররাষ্ট্র ক্যাডার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন পুলিশ ক্যাডার, ফার্মাসি পড়ে হয়েছেন এডমিন ক্যাডার। রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচা করে তাহলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফার্মাসিস্ট করে কি লাভ হল?
প্রশ্ন জাগাটা খুবই স্বাভাবিক। আপনি আরো জেনে অবাক হবেন যে, প্রতি বছর বাংলাদেশের গার্মেন্টস, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে কর্মরত ৫ লক্ষ বিদেশী কর্মকর্তা/এক্সপার্ট’রা প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের দেশের এক্সপার্টরা কোথায়? এই প্রশ্ন জাগাটাও স্বাভাবিক।
উক্ত স্ট্যাটাসের বক্তব্য খণ্ডন করে Abdul Mazid Shah Shakil মন্তব্য লেখেন- দেখুন, আমি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ ভালো রেজাল্ট নিয়ে পাশ করে কর্মক্ষেত্রে এসে দেখি এখানে মেধার কোন মূল্য নেই ৷ কম মেধাবী কিন্তু মালিক পক্ষের পরিচিতরা ভালো পদ ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ৷ ১২-১৪ ঘন্টা গাধার খাটুনি খাটিয়ে বেতন দিচ্ছে মাত্র ১০ – ১২ হাজার ৷ ইদে ছুটিটা উসুল করতে শুক্রবার ও কাজ করতে হচ্ছে ৷ এ আবস্থায় সব কিছু ছেড়ে আমি বাধ্য হচ্ছি সরকারি চাকরির যুদ্ধে নামতে ৷ এটা শুধু আমার না হাজারো যুবকের সাথে এমনটি হচ্ছে ৷ তাই, আমাদের এই ‘ট্রাক চেইঞ্জ’ করাটার দায় আমাদের নয় এই সমাজ ব্যবস্থার ৷
Md Kamrul Hasan ভাই মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়ে লিখেন- একটা কথা আছে নাচ না জানলে উঠান বাঁকা ।এখন তো মনে হচ্ছে ডাক্তার ইন্জিনিয়াররা বি সি এস পরিক্ষা দিয়ে,ভাল রেজাল্ট করে পাপ করেছে !!!!! ডাক্তার কেন এডমিন ক্যাডার হবে?? ইন্জিনিয়ার কেন ফরেন ক্যাডার হচ্ছে ??এসব চিন্তা বাদ দিয়ে বি সি এস এর জন্য পড়লে ভাল উপকারে আসবে ।
Asad Zaman নামের একজন তার পোস্টে লিখেন- ৩৬ তম তে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছে একজন চিকিৎসক আর ২য় হয়েছে একজন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার। এটা দুটো ঘটনার বহি:প্রকাশ
১. ক্যাডার বৈষম্য
২. অনেকেই মনে করে টেকনিক্যাল ফিল্ডে নাকি পরীক্ষা দিলেই হয়ে যায় ( অনেকে তো মনে করে পরীক্ষা না দিলেও হয় ) তাদের জন্য এটা চপেটাঘাত। এভাবে চিকিৎসক ইঞ্জিনিয়ার দের চটিয়ে দেয়া ঠিক নয়।
কিছু মানুষ দেখলাম ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার রা জেনারেলে যাচ্ছে দেখে রীতিমত জ্বলছে।
ভাই এত জ্বলে কেন?? জীবন নিজের ডিসিশন ও নিজের। আপনি কথা বলার কে ভাই?
Shafat Mostafa Ovi নামের একজন লিখেন- সকাল থেকেই একটি বিষয় নিয়ে ফেসবুকে অনেক লেখালেখি দেখছি…কিছু কিছু ক্যাডারে নাকি ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন, এই বিষয়ে দুটি কথা না বলে থাকতে পারছিনা..তারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন নিজের যোগ্যতায়, নন-ট্যাকনিকাল ক্যাডারে প্রথম-দ্বিতীয় হয়েছেনও নিজের যোগ্যতায়..জিওগ্রাফি, বোটানি, ইসলামিক স্টাডিজ, কৃষি অর্থনীতি ইত্যাদি (এসব বিষয়ের কাউকে আঘাত করার জন্য বলছি না) বিষয়ে পাস করা কেউ যখন প্রশাসন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয় তখন তো কেউ কোন প্রশ্ন তোলে না, তাহলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কি দোষ করলেন….
Imran Monju লিখেন- ৩৬তম বিসিএসে ফরেন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন একজন ডাক্তার। দ্বিতীয় হয়েছেন একজন বুয়েট পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার।। এবার মেধাতালিকায় প্রথম হওয়াতে সবার চোখে পড়লেও শেষ কয়েকটা বিসিএসে অনেক ডাক্তারই ফরেন এডমিন ক্যাডারে যাচ্ছেন। অথচ ১০/১৫ বছর আগে যেটা ছিল রেয়ার আর আর অবাক করার মত। আজ সেটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আর এই কারনে যারা সেবা- মানবিকতার দোহায় দিয়ে বড় বড় কথা বলছেন তাদের জন্য কিছু কথা।।
কেউ যখন ডাক্তারি পড়ার জন্য ভর্তি হয় তখন কিছুটা মানবসেবা, কিছুটা বাবা-মায়ের ইচ্ছা কিছুটা সম্মানের কথা চিন্তা করেই ভর্তি হয়।। কিন্তু যতই দিন যেতে থাকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বৈষম্য এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত একজন ডাক্তারের সেই মানসিকতা ততদিন টিকে থাকে না। যেমন ধরুন আপনি একই বিসিএস দিয়ে দুজন দু ক্যাডারে জয়েন করে গ্রামে গেলেন। তো গিয়ে দেখলেন, আপনার অর্ধেক বয়সী পুঁচকে নেতা এক ক্যাডারকে আদেশের সুরে বলতেছে, ওই ডাক্তর আমি অমুক তমুক আমার রোগীরে ভাল করে দেখে দিবেন। এলাকার নেতারা চাইবে আপনি যখন তখন তার সেবায় হাজির থাকবেন। এসবের এদিক ওদিক হলে মাঝে মাইর আর ভাংচুর চলবে। ঠিক ওই একই ব্যক্তিরা অন্য ক্যাডারকে উপদেশ দিবে কিংবা মারবে তো দুরের কথা ভয়েই স্যার স্যার করে। এখন বলবেন যার যার ক্ষেত্র আলাদা, কাজ আলাদা আমরা কেন তাদের পাওয়ার নিয়ে এত ঈর্ষান্বিত? কেউ হিংসাও করে না ঈর্ষান্বিতও নয় সবাই শুধু নিরাপদে সম্মানের সাথে সেবা দিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আইন নাই, নিরাপত্তা নাই বসার জায়গা নাই নুন্যতম চিকিতসা দেয়ার পর্যাপ্ত জিনিস নাই। ক্ষমতা দেয়া নাই যে রোগি ঠকানো চোর আর দালাল কর্মচারী দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। তো কি বলবেন? কয়দিন আগে এরকম সবকিছু চেঞ্জ করতে গিয়ে বদলি হতে হইছে এক ভাইকে। ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দার বসায় রাখছে মানুষের গালি আর মাইর খাওয়ার জন্য। এসবের পরেও যারা আছে তারা পেশার প্রতি অগাধ ডেডিকেশন ভালবাসা আর ফ্যামিলির জন্যই আছে। এবং এটা ৯০ ভাগের জন্য সত্য বাকি ১০ ভাগ হয়তো এতটা আস্থা পায় নি তাই ছেড়ে যাচ্ছে। এখন বলবেন, তাও ভাই সেবা বলে একটা কথা আছে না? তাদেরকে বলি ভাই আপনি বাঁচলে বাপের নাম। আগে নিজের নিরাপত্তা আর মান তারপরেই তো সেবা। নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করার পরও কে মাইর খেতে চায়,কসাই গালি শুনতে চায়? আর যারা মনে করেন সরকার টাকা শুধু ডাক্তারদের পিছনেই খরচ করেন তাদেরকে বলব একটু খোঁজ নেন সরকার কাদের পিছনে বার্ষিক কত টাকা খরচ করে। তাহলে বুঝবেন কে সরকারের টাকায় পড়ে!!
এখন বলি অন্য ক্যাডারদের জন্য গ্রেড ১ এর উপরে সুপার গ্রেডের ব্যবস্থা থাকলেও ডাক্তার বা টেকনিক্যাল ক্যাডারদের জন্য গ্রেড ৩ ই সর্বোচ্চ গ্রেড। অথচ আমাদের শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক স্যারেরা প্রজ্ঞা যোগ্যতা ও মেধায় কি অন্তত গ্রেড ১ পর্যন্ত দাবি রাখে না? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও আমলা। স্বাস্থ্য নীতিও ঠিক করে তারা। ডাক্তারদের প্রমোশন নির্ধারন করেন তারা। নিজেদের মত করে সুবিধা নেন। কয়দিন আগের প্রথম আলোর নিউজগুলা সবার নিশ্চয় খেয়াল আছে।।। তারাই দেশের সব। সব ক্যাডারদের ছাপিয়ে তারাই একচ্ছত্র সব সুবিধাভোগী।। প্রমোশনে একই বিসিএসে কেউ ডিগ্রি ছাড়াই গ্রেডের পর গ্রেড উপরে উঠে যাচ্ছে আর কেউ ওই এক গ্রেডেই বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছে।। ডিগ্রি থাকার পরও। যে দশম গ্রেডে বিসিএস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকেদের সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় সেই একই গ্রেডে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে এস এস সি পাশ ডিপ্লোমা স্যাকমো নামক হাতুড়ে ডাক্তারদের।।।এদের কুচিকিৎসা আর মুড়ির মত এন্টিবায়োটিক দেয়ার ফলে কত ড্রাগ রেসিস্টেন্ট হয়ে যাচ্ছে। কোন ব্যবস্থা নাই।।। শত শত ব্যাঙ এর ছাতার মত মেডিকেলের অনুমোদন দিচ্ছে সরকার। মেডিকেলের মান আজ এই মন্ত্রী, আমলা আর ব্যবসায়ী আর গুটিকতেক লোভী ডাক্তারদের হাতে জিম্মি। কোন ব্যবস্থা নাই।।
বেশিরভাগই এখানে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আসলেও এটা নিশ্চয় অজানা নয় সবারই পেট আছে পরিবার আছে। ডাক্তারদের কাড়ি কাড়ি টাকার মিথ শুধু গুটিকয়েক ৫০+ বয়সী ডাক্তাদের জন্য সবার জন্য না। কেউই এই মহান পেশা ছেড়ে যেতে চায় না।নিরাপত্তা দেন আইন করে। সম্মান দেন। অন্যদের মত সুবিধা দেন। বৈষম্য দূর করেন। গেরান্টি দিলাম কেউ নিজ প্রফেশন ছাড়বে না।। নিজের চেয়েও বাবার ইচ্ছায় এই প্রফেশনে আসা। খারাপও লাগে নাই কখনো প্রফেশন নিয়ে। তবে এখন লাগে যতই দিন যায়। যা বয়স আছে হয়তো ৬/৭ টা বিসিএস দেয়া যাবে। ফ্যামিলি থেকে অনুমতি পেলে হয়তো আমিও শেষপর্যন্ত চেষ্টা করে যেতাম এডমিন কিংবা ফরেনের জন্য !
ডা: আব্দুর রব লিখেন- ৩৬ তম বিসিএস এর রেসাল্ট দিয়েছে আজ। পররাষ্ট্র ক্যাডারে ফার্স্ট হয়েছে হয়েছে আমাদেরই ক্লাসমেট ডা: সুবর্না শারমিন আলো (SSMC-36) । এর আগে আমাদের বিসিএস ব্যাচে (৩৫ তম) আমাদেরই ব্যাচমেট ডা: শোয়েব (SSMC- 36) তৃতীয় হয়েছিল। শেষ তিনটা বিসিএস এ ডাক্তারদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ সহ অন্যান্য ক্যাডারে গেছে এবং ট্র্যাক চেঞ্জ করে ফেলেছে। নানা কারনে এদেশে ডাক্তার পরিচয়ে থাকা এবং ডাক্তারি করাটা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আউটডোরে ফাউ ওষুধ বিলানো, রুগীর লোকের অহেতুক প্যাচাল শোনা সবার ভাল নাও লাগতে পারে। আমাদের মত extreme কিছু পাগল যারা রুগী দেখা ও রুগীর সাথে কথা বলাকে প্যাশন মনে করে, হয়ত শত ঝামেলার পরেও এ পেশায় টিকে থাকবে। কিন্তু একটি বিশাল অংশ যারা এ সিস্টেমে মিশতে পারবে না তাদের জন্য ডা: সুবর্না, ডা: শোয়েব রা প্রেরনা হোক।
কিছু ছোট ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয় যারা বিসিএস এ শুধু জেনারেল ক্যাডারে পরীক্ষা দিবে। এ সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে। আমি চাই এটি বাড়তেই থাকুক। ডাক্তাররা যেদিন আমলা হবে সেদিন ই সত্যিকার পরিবর্তনটা আসবে। আমরা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী অংশ। যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিলে আমাদের ছেলেরা টিকবে না এটা অবিশ্বাস্য। ট্র্যাক চেঞ্জ করা এবং অন্য ক্যাডারে যাওয়া, ভাল না মন্দ, এগুলো বহুকালের বিতর্কিত বিষয়। শুধু এতটুকু বলব ক্লিনিশিয়ান না হয়ে স্বাস্থ্য প্রশাসনের হতাশ কর্মকর্তা না হয়ে সত্যিকার প্রশাসনের দাপুটে কর্মকর্তা হওয়া ভাল। আপনার খুব ভাল লাগবে যখন দেখবেন আপনার থানার ইউএনও অমুক মেডিকেল থেকে পাশ করা, সার্কেল এসপি অমুক মেডিকেলের বড় ভাই। .
পুনশ্চ:
যারা ডাক্তারদের বিসিএস এর বিপক্ষে তাদের শুধু এতটুকু বলব, উপজেলা এবং অন্যান্য সরকারী দপ্তরে আমরা আজো যতটুকু সম্মান পাই শুধুমাত্র বিসিএস ব্যাচের কারনে অন্য কিছুর জন্যে নয়।
Kaium Rashel লিখেন- সম্ভবত ৩৬ তমের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত-
প্রথম জন ডাক্তার
দ্বিতীয় জন ইন্জিনিয়ার
এটা সত্যেই সুখকর নিউজ না-
কেন তারা নিজেদের প্রিয় প্রফেশন ছেড়ে এদিকে আসতেছেন সেটা সবার খুঁজে বের করা উচিত…..
দেশের সিস্টেমে কি এমন হলো যে-
একজন ছেলে বা মেয়ে তার ছোট বেলার লালিত স্বপ্ন ডাক্তারী/ইন্জিনিয়ারিং ছেড়ে এসব জায়গায় এসে হানা দিচ্ছে…….
অন্যে কাউকে ছোট করে বা নিজে অহংকার করে কিছুু বলতেছিনা-
আপনি যদি ডাক্তার/ইন্জিনিয়ারের ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজেন তবে ছোট বেলা থেকে স্কুল,কলেজ ও আজ অব্দি চোখে লাগার মতো পারফরমেন্স দেখতে পাবেন,
খোঁজ নিলে দেখবেন সে কোনদিন হয়তো ফাস্ট/সেকেন্ড/থার্ডের বাহির কখনো যায়নি…..
এই ছেলে বা মেয়েটি যখন গভমেন্ট সার্ভিসে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হওয়াটা স্পষ্ট দেখতে পায় তখন তাদের ছোট বেলার লালিত স্বপ্নকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলতে হয়…
যখন দেখে অতীতে একটু হলেও পিছনে থাকা কাউকে বর্তমানে সার্ভিসে গিয়ে প্রসাশনিক/অন্যে কোন ক্ষমতাবলে অযাচিতভাবে/শুধুমাত্র হ্যারেজ করার জন্য এদের উপর পাওয়ারের ছড়ি ঘুরাতে দেখে তখন স্বপ্নকে কনভার্ট করতে হয়…..
পরিবর্তন দরকার দেশের সার্ভিস সেক্টরে-
একজন আরেকজনকে নূন্যতম সম্মানটুকু দেয়া দরকার,
অন্যেথায় সামনের দিকে ঝামেলা আরো বাড়বে……
সূত্রঃ jobstudy24
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com