কুমিল্লার লাকসামের পৃথক দুইটি অগ্নিকান্ডে বসত ঘর, ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১টি বাসা-বাড়ীর মালামাল পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বুধবার রাতে পৌর শহরের পশ্চিমগাঁও ও উত্তরদা ইউপির চন্দনা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত প্রায় দেড়টার সময় লাকসাম পৌরসভার উত্তর পশ্চিমগাঁও সোয়াছয়ানী এলাকার হাজী জয়নাল আবেদীনের মার্কেটের লোকসাম হোসেনের রিফাত ফার্নিচার, সুমনের ঝুমু স্টোর, সোহরাব হোসেনের বাসা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে নগদ টাকা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও বাসা-বাড়ীর আসবাপত্র পুড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে দমকল বাহীনির সদস্যরা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ আলম অগ্নিকান্ড স্থান পরির্দশন করেন।
অপরদিকে একই দিন রাতে উপজেলার উত্তরদা ইউপির চন্দনা গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে প্রবাসী বাহার উদ্দিনের বসত ও রান্না ঘরে অগ্নিকান্ডে সম্পত্তির দলিল, নগদ টাকা, স্বার্ণালংকার, আসবাপত্র ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
প্রবাসী বাহারের বৃদ্ধ পিতা আবুল কাশেম কাঁদতে কাঁদতে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের কাছে বলেন, আমাদের বৃদ্ধ বয়সে কি দোষ করলাম জানি না। আমার পুত্রবধূ আয়েশা বেগম নিজেই বসতঘরে আগুণ লাগিয়ে আমাদের সর্বশান্ত করে এখন পালিয়ে গেছে। আপনারা এর সত্যতা পাবেন গ্রামের লোকজনের কাছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে বৃদ্ধ কাশেম আমার সব কিছুই শেষ বলতে না বলতেই অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ছায়েদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার নাশকতার অভিযোগ এনে গৃহবধূ আয়েশার বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে স্থানী একাধিক সূত্র জানায়।
লাকসাম ফায়ার সার্ভিস অফিস সুত্রে জানা যায়, দুটি পৃথক অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। পৌরসভার অগ্নিকান্ডটি বৈদ্যতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগার প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। আর চন্দনা গ্রামের ঘটনার তদন্ত চলছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com