কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকায় বলপূর্বক ডা. ফাহমিদা আজিম কাকুলি নামে এক চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডা. ফাহমিদা আজিম কাকুলি কুমিল্লা নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কনসালট্যান্ট (অবস এবং গাইনি) ও ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, তার চেম্বার যে ভবনে ওই ভবনের মালিক জোর করে তার চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডা. ফাহমিদা আজিম কাকুলি বলেন, আমি একজন গাইনি অবস স্পেশালিস্ট। কুমিল্লায় দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করে আসছি। গত চার বছর ধরে নগরীর ঝাউতলায় হাসেমিবাগ নামের একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই আমি সাবধানতা অবলম্বন করে শুধুমাত্র ডেলিভারি আর ব্লিডিং সংক্রান্ত জরুরি রোগী দেখছিলাম। বেশ কয়েকদিন ধরে আমার আশপাশে অনেক ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন এমন অজুহাতে বাড়িওয়ালা ও তার ভাইয়েরা আমাকে চেম্বার বন্ধের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
তিনি আরেও বলেন, অনেকবার তারা চেম্বারের কাছাকাছি এসে উচুঁ গলায় আমার সহযোগীদের চেম্বার বন্ধ করতে বলে গেছেন। আজকে তারা চেম্বারে এসে বলেছেন, আমি যেন জরুরি কোনো সেবা না দেই, চেম্বারে যেন তালা ঝুলিয়ে দেই। না হলে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে অপমান করবে। এর মধ্যে কয়েকবার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দেশের এই ক্রান্তিকালে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে কাজ করতে চেয়েছিলাম। শুধুমাত্র জরুরি রোগীদের জন্য। এমতাবস্থায় আমি কি করবো, বুঝতে পারছি না!
বিষয়টি নিয়ে ওই নারী চিকিৎসক মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নিন্দা ও সমালোচনার ঝড়।
এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা এই ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com