বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিগত তিনটি (আউশ, বোরো, আমন) মৌসুমে শস্য ফসল সংগ্রহ সময়ে অতিবৃষ্টিতে যথাসময়ে সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও ফসল সংগ্রহ এবং বীজ হিসেবে সংরক্ষণ উপযোগী সংগ্রহত্তোর পরিচর্যা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এতে চরম আশংকায় রয়েছে দেশীয় ধানবীজের যোগান ব্যবস্থা।
বিএডিসির বেশ কয়েকজন কন্টাক্ট গোয়ার্সের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফসল সংগ্রহ কালিন অতিবৃষ্টির কারণে ওনারা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বীজ বিএডিসি-কে সরবরাহে ব্যর্থ হন।
একাধিক বেসরকারি বীজ কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, গত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে আসন্ন বোরো মৌসুমে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধানবীজ কৃষককের কাছে পৌঁছানো সম্ভবপর হচ্ছে না। তাই মৌসুম শুরুর আগেই বীজের চাহিদা পূরণে দুঃভাবনায় সংশ্লিষ্টরা। অবস্থা বিবেচনায় কৃষকদের কে চাহিদা মতো ধানবীজ মৌসুমের শুরুতেই সংগ্রহ করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি সংশ্লিষ্টারা বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ যা এসেছে তা অপ্রতুল। এ নিয়ে কৃষকরা আতঙ্কে আছেন।
এদিকে কালিরবাজার ইউনিয়নের জালগাও গ্রামের কৃষক বাছির আলী জানান, সময়মতো ভালো বীজ না পেলে আমরা মাঠে মারা যাব। বীজ সংকট হলে পরের ফলনের সময় খাদ্য ঘাটতি হতে পারে।
বিএডিস সূত্রে জানা যায়, আসন্ন বোরো মৌসুমে কুমিল্লা অঞ্চলে চাহিদামত ধানবীজ এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।যা পেয়েছেন তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
জেলা বীজ ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি কুমিল্লা ট্রেডার্সের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কুমিল্লায় চাহিদামত ধানবীজ বিএডিসি ডিলারদের নিকট সরবারাহ করতে পারেনি। যা বরাদ্দ পেয়েছেন সেসব জাতও কৃষকের কাছে তেমন জনপ্রিয় নয়। সদর দক্ষিণ, নাঙ্গলকোট, লালমাই লাকসামের বেশ কয়েকজন বীজ ডিলারও একই মতামত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও বেসরকারি বীজ কোম্পানি গুলোও চাহিদামত মতো পরিমাণ বীজ ডিলারদের নিকট সরবারাহে ব্যর্থ হচ্ছেন।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com