৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই জেলার ১৭ উপজেলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরো হাসপাতালটি করোনা রোগীদের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হবে। এরপর এ হাসপাতালে শুধু করোনা–আক্রান্ত রোগীর চিকিত্সা হবে।
আজ সোমবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগে ভোগা মানুষের সেবা দেওয়া হবে জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে।
এর আগে কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য দুটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকার ফরটিজ হাসপাতালে ৩৮টি শয্যা (১২টি আইসিইউ) আছে। অপর দিকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে। তবে সেখানে কোনো ধরনের আইসিইউ নেই। হঠাৎ করে আজ সোমবার সভা করে আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান, কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. কলিম উল্লাহ, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ময়নামতি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কে এ মান্নান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদ (স্বাচিপ) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি আবদুল বাকী আনিছ, বি এম এ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, স্বাচিপ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম, কুমিল্লা জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস আকন্দ, স্বাচিপ কুমিল্লা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল সোহেল প্রমুখ।
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত সদস্যরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার সব করোনা–আক্রান্ত রোগীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হবে। এই হাসপাতালে অন্য কোনো সেবা দেওয়া হবে না। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমানকে সভাপতি ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে সদস্যসচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালে করোনা–আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া হবে। এ জন্য কয়েকটি চিকিত্সা দল প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন করে চিকিত্সক, দুজন নার্স, একজন আয়া/ওয়ার্ড বয় এবং একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকবেন। এই হাসপাতালে অন্য কোনো রোগী করোনার এই সময়ে দেখা হবে না। দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটি প্রস্তুত হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com