কুমিল্লার দেবিদ্বারে দরিদ্র মানুষের নামে কার্ড করে নিজে টিপসই দিয়ে চাল তোলার অভিযোগ উঠেছে সুবিল ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী জানান, তাদের নামে যে ওএমওস এর কার্ড আছে সেটা তারা জানেন না। ১৪ এপ্রিল তাদের হাতে কার্ড তুলে দেন গ্রাম পুলিশ আক্তার হোসেন। কিন্তু ওই কার্ডে দেখা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে টিপসই দিয়ে চাল তোলা হয়েছে।
এই গ্রাম পুলিশ জানান, এখন থেকে তারা ১০ টাকা কেজির চাল পাবেন।
টিপসই বা আঙ্গুলের ছাপের বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম পোমকাড়া গ্রামের স্বপন মজুমদার জানান, ‘আমার নামে যে কার্ড আছে, সেটাই সেটাই আমি জানি না। আমাকে এই কার্ডটা দিয়ে গেছে। দেখি ওরা ১৫টা টিপসই দিয়ে রাখছে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, আরও ১২টি পরিবার এমন ভুক্তভোগী। তারা হলেন: স্বপন মজুমদার, মো শফিকুল ইসলাম, রফিজ, চাঁন মিয়া, কাবিল, খাইরুল, দেলোয়ারা বেগম, ফুল মিয়া, শহীদ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন। তাদের দাবি, তাদের নামে যে কার্ড আছে এটা তারাও জানতেন না। প্রত্যেকের কার্ডে ইউপি মেম্বার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওএমএস এর কার্ডগুলো যাচাই করে দেখা যায়, প্রত্যেক গ্রাহকের কার্ড ব্যবহার করে চাল তোলা হয়েছে কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৭ বার, যা ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সুবিল ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমার ওয়ার্ডে দরিদ্র বেশি। তাই সবাইকে ত্রাণ দিতে গিয়ে একজনের নামের কার্ড দিয়ে অন্যজনকে চাল দিতে হয়েছে।'
তিনি আরও জানান, ওএমএস-এর ৮০টি মতো কার্ড রয়েছে তার ওয়ার্ডে।
এদিকে ১১ এপ্রিল সুবিল ইউনিয়নে ওএমএস-এর ডিলার ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলায় সব প্রতিনিধিদের গ্রাহকের হাতে কার্ড পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান জানান, চাল আত্মসাতের বিষয়ে এর আগেও আমাদের কাছে কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত করে এক মেম্বর ও ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। সুবিল ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে টিপসই দিয়ে গরিবের চাল আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়েও আমরা তদন্ত করবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com