ভিক্টোরিয়ার শিক্ষার্থীরা মেসভাড়া মওকুফ করতে জেলা প্রশাসককে কলেজ অধ্যক্ষের চিঠি
বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় এখন বাড়িতে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের এমন পরিস্থিতিতে মেস ভাড়া পরিশোধের চাপ তাদের জন্য নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলমান করোনা ভাইরাসের দুর্ভোগে পড়া শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ বা হ্রাস করতে সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া বরাবর আবেদন করে ভিক্টোরিয়া কলেজের সৃজনশীল সংগঠন ক্যাম্পাস বার্তা’র সম্পাদক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিযা কলেজ সাংবাদিক সমিতি’র(কুভিকসাস) সভাপতি মাহদী হাসান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রায় ২৯হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সংকট থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই শহর ও ক্যাম্পাসের আশে পাশে বিভিন্ন মেসে থাকতে হচ্ছে। তাদের অনেকেই পড়াশোনার খরচ বহন করার জন্য টিউশনি, কোচিং, পার্ট টাইম চাকুরি ইত্যাদি পেশার সাথে যুক্ত। এমনকি কেউ কেউ পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে সংসার খরচও জোগান দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তাদের এসব আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় মেস ভাড়া পরিশোধের চাপে অসহায়বোধ করছেন শিক্ষার্থীরা।
আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ এর পদক্ষেপ নিতে আজ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া ।
চিঠিতে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূইঁয়া যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, যশোরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মেস মালিকরা পরামর্শ করে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া ৬০% মওকুফ করেছেন।
এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেস মালিকদের সাথে সম্বনয় করলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে ও দেশব্যাপী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীতে গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়াঁতে হবে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বাড়ির মালিকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি উদার দৃষ্টি কামনা করছি এবং সর্বক্ষণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই।