কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহারসহ ঈদ বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় নেই। সেখানে বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা। কুমিল্লায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে শালবন বৌদ্ধ বিহারে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। শালবন বৌদ্ধ বিহারসহ পাশের রুপবানমুড়া, কোটিলা মুড়া,নগরীর চিড়িয়াখানায় ও বাণিজ্যিক পার্ক গুলোতে আশ-পাশের জেলা ও সারা দেশের দর্শনার্থীরা ভিড় করে।
সূত্রমতে,কুমিল্লা মহানগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি যাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড)। এছাড়া কোটবাড়ি এলাকা নতুন করে গড়ে উঠেছে কয়েকটি বাণিজ্যিক পার্ক। এদিকে কুমিল্লা নগরীতে রয়েছে চিড়িয়াখানা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় কোন দর্শনার্থীর আনাগোনা নেই। গেইটে তালা মারা। ভেতরের ঘাস বড় হয়ে গেছে।
নগরীর কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন,শালবন বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর। পুরার্কীতি দেখার সাথে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এবার করোনার কারণে সেখানে যাওয়া হয়নি। প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে পর্যটনে কুমিল্লা আরো বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে।
খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন,শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রতœতাত্ত্বিক স্থান গুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড.আতাউর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে এখানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকতো। তবে করোনার কারণে শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে গেলে এখানে আবার দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে আশা করছি।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com