সারা বিশ্বের ন্যায় এদেশেও করোনার প্রকোপ আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেলে সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষনা করে। এতে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১ জুন থেকে যান চলাচল আবারো শুরু হলে মহাসড়কের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। এতে করে দেশের প্রধান জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য বা যাত্রীবাহী যানবাহন থেকে শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি,যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া অ্াদায় বন্ধসহ করোনার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষায় দিনরাত কাজ করছে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ। ফলে যাত্রী সাধারন এবং চালকদের মাঝে ব্যপক স্বস্তি বিরাজ করছে। হয়রানী না থাকায় অপেক্ষাকৃত কম সময়ে গন্তব্যেও পৌঁছে যাচ্ছে যানবাহনগুলো।
সরেজমিন মহাসড়ক ঘুওে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, করোনার প্রভাবে ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতি সচল রাখতে সরকতার গত ১ জুন থেকে দুরপ্লøার যানবাহন চালু করে। এসময় মহাসড়কে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন থেকে শ্রমিকরা যেন চাঁদাবাজি করতে না পাওে কিংবা সরকার নির্দেশিত যাত্রী সরক্ষার বিষয়টি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় সে লক্ষে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। এসময় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের উদ্যোগে মহামারী করোনা ভাইরাসে মহাসড়কে জরুরী পন্যবাহী যানবাহনে চালকদের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ চালকদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতন কার্যক্রম পরিচালনায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরন করে। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অপর জেলায় যাতায়াত এবং হটস্পট ঢাকা নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আক্রান্তরা যাতে পুর্ব দক্ষিণা লে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে লক্ষ্যে যাত্রী এবং চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ দিন-রাত পিপিই পড়ে মহাসড়কে অবস্থান করে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও ১জুন থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে মহাসড়কে নেমে পড়ে কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশ।
এসময় গণপরিবহনে স্বাস্থ্য বিধির অজুহাতে ভাড়া বৃদ্ধির ফলে যাত্রী সাধারনের মাঝে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দেয়। করোনায় বিপর্যস্ত এ জনসাধারণকে অতিরিক্ত ভাড়ার কবল থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম । তিনি ব্যস্ততম এই মহাসড়কের অধীন হাইওয়ে পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানদেরকে নিয়ে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের মালিক ও শ্রমিক সংগঠন গুলোর সাথে আলোচনা করে সড়ক মহাসড়কে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেন। এদিকে মহাসড়কে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অ লের প্রতিটি থানা এবং ফাঁড়ি এলাকায় তল্লাশী অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায়,পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কিংবা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে কিনা এসব কার্যক্রম নিজেই মনিটরিং করছেন পুলিশ সুপার। এসময় পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম শ্রমিক সংগঠনের নামে অনিয়ম কিংবা হাইওয়ে পুলিশের কোন সদস্য যদি চাঁদাবাজ চক্রের সাথে জড়িত হয় তাহলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের হুশিয়ারীও দেন ।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বি-৯৩৮ ও কুমিল্লা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ২০২৬ এর সাধারন সম্পাদক কাজী মোতাহের হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মন্ত্রণালয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বজায়সহ অতিরিক্ত ভাড়া ও চাঁদা আদায়ের। এজন্য হাইওয়ে পুলিশ কে দায়িত্ব ওেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা অ লের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময় যাত্রীবাহী বাস বা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবেনা। পরিবহন মালিক , শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেও সাথে সভা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে কোনভাবেই মহাসড়কে চাঁদা আদায় করা যাবেনা। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ কোন চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com