কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার চিতড্ডা ইউপির ওড্ডা গ্রামে ১৮ লাখ টাকার ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান, ব্রিজটি নির্ধারিত স্থানে নির্মাণ না হওয়ায় হাজার হাজার পথচারীদের ভোগান্তি বেড়ে চলেছে। ব্রিজটি কীভাবে অন্য জায়গায় নির্মিত হলো তার তদন্তের দাবি করেন তারা।
সরেজমিনে জানা যায়, ব্রিজটি ওড্ডা সর্দার বাড়ির আরব আলী সর্দারের বাড়ির সংলগ্ন খালের উপর নির্মাণ না করে, ওড্ডা পদুয়ারপাড় (নোয়াপাড়া) সার দোকানদার তাজির মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন খালের উপরে নির্মাণ করা হয়। যেখানে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে আরব আলী সর্দার এবং সর্দার বাড়ি নামে কোনো ব্যক্তি বা বাড়ি নেই। ব্রিজের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট ও উচ্চতা ১৬ ফুট ধরা হয়। ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প ২০১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরের আওতায় বরুড়ার চিতড্ডা ইউপির ওড্ডা গ্রামে আরব আলী সর্দারের বাড়ির সংলগ্ন খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্প আরব আলী সর্দারের নামে বরাদ্দ হয়।
আরব আলী সর্দার বলেন, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। এখনো করছি। আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতা নাছিমুল আলম চৌধুরী (নজরুল) এমপি, প্রকল্পটি আমার নামে বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছিলেন। এ ব্রিজটি আমার বাড়ির সংলগ্ন খালের উপর হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমার এখানে পরিদর্শন না করে, ওড্ডা নোয়াপাড়ার সার দোকানদার তাজিরের বাড়ির সংলগ্ন খালের উপরে ব্রিজটি নির্মাণ করেন। এ ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধা নিয়ে স্থান পরিবর্তনের অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।
চিতড্ডা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, আমি নিজেই ব্রিজের জন্য আবেদন করি এবং ব্রিজটি আরব আলী সর্দার নামেই বরাদ্দ হয়। আমি মনে করি আর্থিক লেন-দেনের মাধ্যমেও ব্রিজটি স্থানান্তর হতে পারে। কিন্তু ব্রিজ অন্য এলাকায় কেন হয়েছে এর সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
অন্যদিকে ওড্ডা গ্রামের আওয়ামী লীগ সদস্য আবু তাহের সওদাগর বলেন, এই গ্রামে দুইটা ব্রিজ বরাদ্দ হয়েছে। একটা আমার বাড়ির পশ্চিমে রব মিয়ার দোকান সংলগ্ন খালের উপরের ব্রিজ, অন্যটি আরব আলী সর্দার বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর ব্রিজ। রব মিয়ার দোকান সংলগ্ন ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ। কিন্তু আরব আলী সর্দার নামে বরাদ্দ ব্রিজ অন্য এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় এবং আমাদের এলাকায় জনসাধারণের জন্য ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এর সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী বাবুল তালুকদার বলেন, ডিউ লেটারে ভুল নাম টাইপিংয়ের কারণে আরব আলী সর্দারের নামে বরাদ্দটি আসে। মূলত ব্রিজটি বর্তমানে যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানের পুরোনো ব্রিজটির ছবি ও লোকেশন দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ডিও লেটার পাঠানো হয়েছিল। এ ব্রিজ নির্মাণে কোনো লোকেশন পরিবর্তন করা হয়নি।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com