কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউপির মন্নারা গ্রামে এক ৭ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানার পর ঢালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান লম্পটকে খবর দিয়ে পরিষদে এনে আটক করে থানা পুলিশের সামনে গ্রাম পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
কিশোরী অভিযোগ করে বলেন- তাকে গত ৬ মাস ধরে লম্পট ধর্ষন করে আসছে। প্রথমে বাড়ীতে পাশে বাগানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন মুন্সি বাড়ীর পেয়ার আহমেদের ছেলে রাজু (২০)। এরপর তার ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারন করেন। তখন কিশোরীকে হুমকি দেয় বিষয়টি কারও কাছে না বলার জন্য। এরপর থেকে একাধিক বার তাকে ধর্ষন করতে থাকে বখাটে । মে মাসে তার পেটে সন্তান গর্ভ ধারন করেন। চলতি মাসের ৫ জুন তারিখে কিশোরীকে মিফটোন ২শ এমজির ৬ টি ট্যাবলেট ওষধ খাওয়ায় ধর্ষক রাজু। তখন তার পেটের সন্তানকে নষ্ট করে দেয়া হয়।
কিশোরীর বাবা বলেন- তার শিশু মেয়েকে লম্পট জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে । স্থানীয় চেয়ারম্যান লম্পটে আটক করে গ্রাম পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ পিছনের গাড়ীতে করে আসছে। আর গ্রাম পুলিশ একটি ভাড়া চালিত সিএনজি করে ধর্ষককে থানায় আনার পথে পৌর মেয়রের বাড়ীর সামনে এলে গাড়ী থেকে ধর্ষক পালিয়ে যায়। সিএনজির ড্রাইভার আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। একাধিক বার ঢালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছিরের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করার তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গতকাল বুধবার নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, গ্রাম পুলিশের হাত থেকে একজন পালিয়ে গেছে। সে কিন্ত আমাদের কোন মামলার আসামী নয় এবং মেয়েটির মা ও বাবা থানায় এসেছে। অভিযোগ দেয়ায় পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com