২২ দিনের জন্য ১০ টি আইসিইউ শয্যা ও ৫ টি আইসোলেশন শয্যা ব্যবহারের ভাড়া ৫ কোটি টাকার বেশী। অবিশ্বাস্য হলেও সরকারের কাছে এই টাকা দাবী করেছে কুমিল্লার এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইন্সটিটিউট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ আমিনুল ইসলাম।
হৃদরোগের বিশেষায়িত হাসপাতাল কুমিল্লার এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইন্সটিটিউট। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালের ১০ টি আইসিইউ শয্যা ও ৫ টি আইসোলেশন শয্যা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সরকার।
২২ দিন আইসিইউ সেবা দিয়ে প্রতিষ্ঠান টি কুমিল্লা মেডিকেলের কাছে প্রায় ২৩ লাখ ও সাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে প্রায় ৫ কোটি টাকা দাবী করে।
এই ব্যাপারে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ মুজিব রহমান বলেন, সমস্ত স্টাফ দিয়েছি আমরা। ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন সদরের এমপি নিজে। কুমিল্লা ক্লাবে ও ভিক্টোরিয়া হোটেল ভাড়া করে আমার স্টাফরা কোয়ারাইন্টাইনে ছিলো। এএফসি হেলথ ফরটিস হার্ট ইন্সটিটিউট অস্বাভাবিক একটা অর্থ চেয়েছে। এইটার জন্য সদরের এমপি তাদেরকে ভৎসনা করেছে। তাদের স্টাফ তো এইখানে কোন কাজ করে নাই।
নিয়ম অনুযায়ী অর্থ দেয়ার সুপারিশ করার কথা জেলা সিভিল সার্জনের। কিন্তু কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াতুজ্জামান জানিয়েছেন, কিভাবে এই সুপারিশ সাস্থ্য অধিদপ্তরে গেলো তা তিনি জানেন না।
অর্থ ছাড়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরটিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির জিএম তৌফিক হাসান বলেন, সরকারের সাথে সহযোগিতায় একমাস আমরা সার্ভিস দিয়েছি, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে করোনা চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত। খরচের ব্যাপারটা প্রক্রিয়াধীন আছে।
শুধু তাই নয় হাসপাতালটিতে করোনা পরীক্ষার অননুমোদিত এন্টিজেন পরীক্ষাও করা হচ্ছে। হৃদরোগিদের এনজিওগ্রাম করার আগে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয় মোবাইলে, দেয়া হয় না কোন রশিদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগির স্বজন জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য আমরা ২৫০০ টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারা কোন রিপোর্ট দেয় নি।
সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com