করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে গোমতী চরের কৃষকরা। দীর্ঘ এক মাসের শ্রমে-ঘামে সবুজ হয়ে উঠে গোমতীর চর। সবুজ গাছের গোড়ায় মাটি ভেদ করে উকি দিয়েছে সাদা মুলা। বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তৃত্ব চরজুড়ে এখন মুলার হাসি। সেই হাসি লেগেছে কৃষকের মুখেও।
সরেজমিনে আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর চরে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চর থেকে মুলা সংগ্রহ,পরিস্কার করে আটি বাঁধছেন। জমির পাশে অপেক্ষা করেন পাইকাররা। মুলা সংগ্রহ ও পরিস্কারের পরেই গাড়িতে তোলা হয়। গোমতী চরের মুলা কুমিল্লা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী শহর ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে।
বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের আবুল কালাম। গোমতী চরে তিনি ৪০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছেন। বীজ সার,কীটনাশক ও কৃষি মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন সেই মুলা বিক্রি করেছেন ৭৫ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে মাত্র ১ মাসেই তার মুনাফা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। আর এ কারণেই তৃপ্তির হাসি লেগেছে সবজি চাষী আবুল কালামের মুখে।
এই মুলা কিনেছেন চট্টগ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আরাফাত মৃধা। তিনি জানান, ৭০ হাজার টাকার মুলার সাথে বহণ খরচ হবে আরো ১০ হাজার টাকা। এই মুলা বিক্রি করবেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের মুলার চাহিদা বেশী।
তবে এ মুহূর্তে মুলা ক্ষেতে কেঁচোর উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে অনেক কৃষকই দুঃচিন্তায় রয়েছেন।
এ সমস্যার বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত জানান, কৃষক ভাই বোনদের জন্য মাঠে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন। তারা যে কোন সহযোগিতার জন্য প্রস্তত রয়েছেন।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com