কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বীরচন্দ্র পাঠাগার ও নগর মিলনায়তন (টাউন হল) ভাঙা হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, একশ' বছরের বেশি হলে কোনো স্থাপনা ভাঙা যায় না। ওটা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে চলে যায়।
বুধবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহ্যবাহী ভবনটি রক্ষার জন্য শিগগির গেজেট প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
কে এম খালিদ বলেন, সকালে পত্রিকা পড়ে বিষয়টি জানতে পেরেছি। যে কোনো ঐতিহাসিক স্থাপনা ১০০ বছর বয়স পার হলে সেটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় চলে আসে। আমাদের এ রকম কয়েক হাজার স্থাপনা রয়েছে, এর মধ্যে ৫০৩টি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আছে। সবগুলো এখনো গেজেট করা হয়নি।
তিনি বলেন, কুমিল্লার এই স্থাপনাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মহাত্মা গান্ধীসহ অনেক গুণীর স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা এটি। অনেক আগেই গেজেটে অধিভুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু পাশেই কুমিল্লা ক্লাব থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। স্থাপনাটি ভাঙার বিষয়ে যে কথা উঠেছে, সেটি ঠিক নয়। স্থাপনাটি ঠিক রেখে পাশেই একটি আধুনিক ভবন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সূত্রঃ সমকাল
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com