কুমিল্লার লাকসামে ওরসে যাওয়ার পথে রাব্বী প্রধান (১৬) ও মাসুদ হোসেন (১৪) নামে দুই কিশোরকে অপহরনের অভিযোগে জুয়েল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপহরণকারীর কাছ থেকে কিশোর মাসুদ কৌশলে পালিয়ে আসার তিনদিন পর গত রবিবার গভীর রাতে অপর অপহৃত কিশোর রাব্বীকে পৌর শহরের বড়তুপা মাছের ঘের থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গত রোববার অপহৃত কিশোরের মামা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উদ্ধারকৃত রাব্বী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আয়মা গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলী প্রধানের একমাত্র ছেলে ও মাসুদ হোসেন একই জেলার মতলব উত্তর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে।
রাব্বী প্রধানের চাচা আবদুল কাদের জানায়, গত শুক্রবার তারা ২বন্ধু লাকসাম উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর দরবার শরীফের বাৎসরিক ওরসে আসার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে ট্রেনযোগে লাকসাম জংশন স্ট্রেশনে নামে। এসময় ভাতিজা রাব্বীর হাতে একটি মোবাইল ফোন ছিল।
পালিয়ে আসা কিশোর মাসুদ হোসেন জানায়, আমি ও আমার বন্ধু একই ট্রেনে গত শুক্রবার লাকসামের চাঁদপুর দরবার শরীফের বাৎসরিক ওরসে যাওয়ার পথে লাকসাম রেলওয়ে জংশনে জুয়েল নামের ব্যাক্তির সাথে পরিচয় হয়। তিনি আমাদেরকে পথ দেখানোর কথা বলে একটি অটোরিক্সায় তোলেন। কিছুদুর যাওয়ার পর একটি মাঠের মধ্যখানে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি কৌশলে পালিয়ে ওই এলাকার লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করি। এসময় আমার বন্ধু রাব্বীকে নিয়ে জুয়েল নামের ওই ব্যক্তিটি পালিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকার লোকজন জানার পর বিভিন্ন বাড়ীতে খোঁজাখুজি ও সন্ধান চেয়ে মাইক নামিয়ে প্রচার করেন।
পালিয়ে আসা কিশোর মাসুদ আত্মীয়স্বজনকে সাথে নিয়ে অপহৃত বন্ধুকে খুঁজতে গিয়ে রোববার দুপুরে অপহরণকারী জুয়েলকে লাকসাম রেলওয়ে জংশন প্লাটফর্মে আরো কয়েকজনের সাথে মাদকসেবন অবস্থায় দেখে স্টেশন মাস্টারকে অবহিত করে। মাস্টার স্থানীয়দের সহায়তায় জুয়েলকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ ও লাকসাম থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ এসে জুয়েলকে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল সোমবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাব্বীর ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে।
লাকসাম থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণকারী জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com