কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর এলাকার ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র এক শিশু বলৎকারের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সহকারী ও আবাসিক শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি(২৫)কে গ্রেফতার পূর্বক শনিবার সকালে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে গত ৬নভেম্বর রাত ১০টায় দেবীদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের ‘স্যোশাল ইসলামি ব্যাংকের’ তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র আবাসিক কক্ষে।
ওই ঘটনায় ভিক্টিম শিশু(১৩)’র পিতা বাস চালক(৪০) বাদী হয়ে শনিবার সকালে ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র আবাসিক শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি(২৫)’কে এক মাত্র আসামী করে দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ১৬, তাং-১৪/১১/২০২০ইং)।
এর আগে ভিক্টিমের পিতার একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাত অনুমান ৯টায় অভিযুক্ত ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি(২৫)কে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এস,আই) আলমগির হোসেন’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষ থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটক ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি(২৫) উপজেলার ধামতী (উত্তর পাড়া মাঝি বাড়ি) গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম মাঝির পুত্র।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়,- ভিক্টিম শিশুটি ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং আবাসিক কক্ষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে থাকত। শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল প্রায়ই তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে যৌননিপিড়নের চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার দিন তাকে নানাভাবে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং কোরান শরীফ দ্বারা তার মাথা খারাপ করে ফেলবে বলে হুমকী দিয়ে বলৎকার করে। বিষয়টি তার মা’ ও বাবা’কে বললে, তারা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ প্রধান মাওলানা আবু সাঈদ সোহেল জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমান হলে তার সর্বোচ্চবিচার দাবী করছি। আমার মাদ্রাসায় তাকে সহ ৩জন শিক্ষক ও প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী রয়েছে, এর আগে তার বিরুদ্ধে এরকম কোন অভিযোগ পাইনি।
অভিযুক্ত ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল’র বড় ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, তার ভাই সাংসারিক জীবনে বিবাহীত এবং ৮মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এরকম কোন ঘটনা অতিতে শুনি নাই।
এব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বলৎকারের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী ও ভিক্টিম সহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুব হোসেন খান’র আদালতে ভিক্টিমের ২২ধারায় জবানবন্ধী, ডাক্তারী পরীক্ষা করা এবং আসামীর ১৬৪ধারায় জবানবন্ধী নথিভূক্ত করা হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com