এক লাখ ৩৪ হাজার ভ্যাকসিন চাইলো কুমিল্লা
বৃহৎ ও প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা হিসেবে কুমিল্লায় কী পরিমাণ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োজন তার প্রস্তাবনা ও বাজেট নির্ধারণে কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
জেলায় বিভিন্ন সেক্টর অনুযায়ী কত জন ব্যক্তির করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োজন সেটার প্রস্তাবনা তৈরি করবে এই কমিটি। তারপর সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন অফিসে এক লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ জনের জন্য ভ্যাকসিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। এজন্য কুমিল্লা জেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মরত কর্মী, চিকিৎসক, পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি এবং ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা কুমিল্লা জেলা কমিটির সভায় এসব তথ্য উঠে আসে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ ও কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লায় যাতে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সঠিকভাবে বিতরণ হয় সেই জন্য আজকের এই সভা। সভায় ভ্যাকসিনের বাজেট তৈরি ও সঠিকভাবে বিতরণে একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সঙ্গে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা এই কমিটিকে সাহায্য করবেন।
তিনি আরও বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করায় কুমিল্লায় একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে আমরা মনে করি অন্যান্য জেলা থেকে কুমিল্লা ভালো পর্যায়ে রয়েছে।
সভাপতি বক্তব্যে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, সরকারিভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ হবে সেই বিষয়ে আজকে সভা হয়েছে। একটি কমিটি হয়েছে। সেই কমিটি বিভিন্ন সেক্টর অনুযায়ী কতজনের ভ্যাকসিন লাগবে সেটার প্রস্তাবনা দেবেন। সেই প্রস্তাবনা আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। সেখান থেকে কুমিল্লা জেলার জন্য যে ভ্যাকসিন বরাদ্দ হবে সেগুলো আমরা সঠিকভাবে বিতরণ করবো। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কুমিল্লা একটি বৃহৎ ও প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা। এখানকার জনসংখ্যা ও চাহিদা মোতাবেক যেন অধিক পরিমাণে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে সেই জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আতাউর রহমান জসিম, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী, এন এস আই কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ইকবালসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।