কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার বলাকিয়া গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি এখন যেন মৌমাছির অভয়াশ্রম। বাড়িটির একটি দালানে ৫টি মৌমাছির চাক বসেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের দোতালা ডুপ্লেক্সে বাড়ির কার্নিশ, বাড়ান্দায় ৫টি মৌচাক। এসব চাক থেকে প্রতি মাসে মধু সংগ্রহ হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছে এবং বাড়িতে মৌমাছি বসতে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু দালানে কীভাবে চাক বসে সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ বছর ধরে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে এভাবেই বাসা বেঁধে থাকে মৌমাছি। তবে এত কম মৌচাক আগে দেখা যায়নি। প্রতি বছর এসময়ে এই বাড়িতে বাসা বাঁধে মৌমাছির দল। তবে আগে ১৫-২০টি বাসা বাধলেও এভারেই ৫টি মৌচাক দেখা যাচ্ছে। এক বাড়িতে পাঁচটি চাক থাকলেও মৌমাছিগুলো কারো কোনো ক্ষতি করে না।
মনগোজ গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় ওই বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আসা যাওয়া করি। কিন্তু মৌমাছি কখনোই আমাদের কামড়ায় না।
বাড়িটির মালিক প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ভাতিজা কাউছার বাসসকে বলেন, গত বছরও ১৫ থেকে ২০টি মৌচাক ছিল। এবার বাড়ির কার্নিশ বাড়ান্দায় ৫টি মৌচাক বসেছে। আর এই মৌমাছি দেখতে মানুষ ভিড় জমায় বাড়িতে। গত বছর প্রায় দুই মণ মধু সংগ্রহ হলেও এ বছর ৫টি মৌচাক থেকে ১৩ কেজি মধু সংগ্রহ হচ্ছে প্রতিমাসে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক সুরজিত দত্ত বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছে এবং বাড়িতে মৌমাছি বসতে আকৃষ্ট হয়। তবে দালান বাড়িতে বসার কারণ জানতে গবেষণা চলছে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com