বুড়িচংয়ে বেড়েছে গরু চুরির ঘটনা; রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে কৃষক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে গরু চুরির ঘটনা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চক্রটি আরো সক্রিয় হয়েছে। মনিপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সোমবার গভীর রাতে ৩ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। একই ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রায় ৬ মাস আগেও আরো একটি গরু চুরি হয়েছিল। এছাড়াও চলতি মাসের গত ৫দিনে উপজেলার শাহদৌলতপুর,শাহদৌলতপুর মধ্যমপাড়া,ঘোষনগর এলাকায় গরু চুরির সময় টের পেয়ে শোর চিৎকার করলে চোরেরা পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম গরু পালনসহ দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। গত সোমবার রাত প্রায় দু’টায় পরিচর্যা শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে উঠে দেখে তার গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভি,একটি ষাড় ও একটি বাছুরসহ ৩ টি গরু নাই। বহু খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন হদিস পাননি। তিনি বলেন, গাভীটির দুধ বিক্রি করেই তার সংসার পরিচালনা করতো। এছাড়া তার অন্য কোন আয়ের উৎস নেই। গরুগুলো হারিয়ে তিনি একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
প্রায় ৬ মাস আগেও তার আরো একটি গরু রাতের আধাঁরে চুরি করে নিয়ে যায় গরু চোরেরা। স্থানীয় সুত্রে আরো জানায়,একই উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মধ্যম শাহদৌলতপুর গ্রামে ৫ জুলাই রাতে পিক-আপসহ একটিদল প্রবেশের পর সন্দেহজনকভাবে গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া করলে দ্রæত গাড়ি সহ পালিয়ে যায়।
৩ জুলাই শাহদৌলতপুর গ্রামের মালের বাড়িতে গভীর রাতে একদল চোর মৃত আনোয়ার ড্রাইভারের ঘর থেকে ৩ টি গরু বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গরু লাফিয়ে উঠলে বাড়ির লোকজনদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় তাদের শোরচিৎকারে গরু ফেলে চোরেরা পালিয়ে যায়। এছাড়াও ১ জুলাই গভীর রাতে ময়নামতি ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের হাসমত উল্লাহর খামারেও একদল চোর হানা দেয়। এসময় খামারের লোকজন টের পেলে চোরেরা পালিয়ে যায়। সামনে ঈদুল আজহা।
অনেক দরিদ্র কৃষক সারাবছর লালনপালন করে ঈদে গরু বিক্রি করে লাভের চিন্তা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে চোরদের দৌরাত্বে অনেকস্থানে গরুর মালিকরা রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদেরকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি। আপনাদেরকে কেন জানায়, আমাদেরকে জানাতে হবে। আমরা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবো।