কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামে ভাই-ভাবির চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক পাষণ্ড ছোট ভাই ও তার পরিবারের সদস্যরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কংগাই গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাস ও তার ভাই নারায়ণ চন্দ্র দাস নামে দুই সহোদরের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
গত রোববার সকালে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামে বড় ভাইয়ের বসতঘরে হামলা চালায় নারায়ণ চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলেসহ সঙ্গীরা। এ সময় নারায়ণ চন্দ্র দাস তার আপন বড় ভাই দুলাল চন্দ্র দাস ও ভাবি মলিনা রানী দাস এর চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারে।
এ সময় হামলাকারীরা কুপিয়ে দুলাল চন্দ্র দাস ও মলিনা রানী দাসকে গুরুতর আহত করে। মলিনা রানী দাসের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে মাটিতে পড়ে যায়। অপর হাতের ২টি আঙ্গুলও নড়বড়ে হয়ে যায়। দুলাল চন্দ্র দাসের হাতে মারাত্মক জখম হয়।
পরে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। আহতদের চিকিৎসার জন্য চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল পরে ঢাকা মেডিকেল এবং অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শ্যামলী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি মামলাও চলমান। গত রোববার সকালে পূর্ব পরিকল্পনা করে নারায়ণ চন্দ্র দাস ও তার স্ত্রী সন্তান মিলে অতর্কিত ভাবেই চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আমাদের জখম করে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র দাসের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
চান্দিনা থানার এসআই মো. নোমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা জানান জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে।
চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, হামলার ঘটনা সঠিক। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com