কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শাহ্দৌলতপুর গ্রামে অস্রসহ ফাহিম (২০) ও সোহান (২২) নামে আটক ২।
ফাহিমকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা, সোহান পুলেশের কাছে আত্নসমর্পণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শাহ্ দৌলতপুর গ্রামের মরহুম বাসার মেম্বার বাড়ি সংলগ্ন সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় ঈদগাহে স্থানীয় এক মহিলার জানাযা নামাজ শেষ করে খানিক বাদে চিৎকার গন্ডোগোল শুনতে পায়, তখন তারা দেখে
দুটি মোটর সাইকেল যোগে এসে ৬জন অস্রধারী আব্দুর রহমানের ছেলে সাব্বিরকে মারার জন্য আসে, তাকে না পেয়ে ফাকা গুলি করতে থাকে, পরে স্থানীয়দের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে একজনকে অস্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়, এসময় তার সাথে থাকা বাকি পাঁচজন পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আটককৃত ফাহিমকে গনধোলাই দিয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়, পরে দেবপুর ফাড়ি পুলিশের এএসআই জহির একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে আটকৃত ফাহিমকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়।
আটকৃত ফাহিম সাংবাদিকদের জানায়, পূর্ব শাহ্দৌলতপুর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে সোহান তার বন্ধু, সোহানের সাথে সাব্বিরের ঝামেলা, তাই সোহান তাদেরকে পিস্তল দেয়, তারা সবাই দুটি মোটর সাইকেলে করে ৬জন সাব্বিরকে মারার জন্য আসে। স্থানীয়দের ধাওয়ায়, ৫জন পালাতে পারলেও ফাহিম পুকুরে পরে যায়, তাই সে ধরা পড়ে যায়।
পালিয় যাওয়া বাকিরা হল, দুর্গাপুরের অভি, তানভীর, ঘোড়ামারার জাহিদ, অন্যজন অজ্ঞাত। অন্যদিকে ঘটনার পর সোহান দেবপুর ফাড়িতে গিয়ে পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়, পুলিশ তাকে আটক করে।
রাত সাড়ে ১১টায় বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আটককৃত ফাহিম জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক হুমায়ূন কবির মেম্বারের ছেলে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমঙ্গীর হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, এঘটনায় সাব্বিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন, দুজন আটক আছে, বাকীদের আটক করেতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com