কুমিল্লায় তারাবি নামাজরত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নির্বাচনে পরাজয়ের জের ধরে তারাবি নামাজরত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত স্বামী-স্ত্রীকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মেম্বার আবুল কালাম আজাদ। একাধিকবার তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজয়ী মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থকরা উগ্র হয়ে উঠেছে। এর আগে ওরা আমাদের এক সমর্থককে হত্যা করেছে। ওরা বলছে, হত্যা যেহেতু করছে আরও মানুষ মেরে জরিমানা দেবে।
আহত এতিম আলীর চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন জানান, কুমিল্লা নগরীর পরিচয় দিয়ে জহির মারুফ নামে একজন সাংবাদিক বিষয়টি সমোঝোতার কথা বলেছেন। শনিবার বিকেলে ‘০১৭৬০১৯১১৮৪’ নাম্বার থেকে কল দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন কেন? কিসের ক্ষমতা দেখান। আপনি সমঝোতায় চলে যান।’
দেবিদ্বার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, স্থানীয় প্রতিনিধিদের থেকে জানতে পেরেছি এরা যাযাবর স্বভাবের। ঘটনার তদন্তে আমাদের টিম কাজ করছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেবিদ্বার উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ইউছুফপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা হামলা চালায় বিজয়ী প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের ওপর। এতে গুরুতর আহত হন নুরে আলমসহ ১৫ জন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ ৯ ফেব্রুয়ারি দেবিদ্বার থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। এক মাস চিকিৎসা শেষে ৯ মার্চ ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু হয় ঘটনায় আহত নির্বাচিত মেম্বার সমর্থক নুরে আলমের (২৫)।