ডেস্ক রিপোর্টঃ শুরু ও শেষের দলটাকে মেলানো মুশকিল। টানা তিন ম্যাচ জিতে এবারের বিপিএল শুরু করেছিল সিলেট সিক্সার্স। আর গ্রুপ পর্ব শেষে সেই দলটিই কিনা বাদ পড়ে গেল প্লে অফের লড়াই থেকে। ঘরের মাঠে ঢাকা-কুমিল্লার মতো দলগুলোকে উড়িয়ে আসর শুরু করেছিলেন নাসির হোসেনরা। তবে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতেই বিবর্ণ হতে থাকেন দলটি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে একটিও জয় পায়নি সিলেট।
ভিন্ন অবস্থা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে। টানা ম্যাচ জিতেছেন তামিম-ইমরুলরা। ১২ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে হেরেছে দলটি। শেষ ম্যাচেও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন দলটির ক্রিকেটাররা। সিলেট সিক্সার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে গ্রুপ পর্বটা নিজেদের করে নিল কুমিল্লা।
শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭০ রান করে কুমিল্লা। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে ১৪৫ রানেই শেষ হয় সিলেটের ইনিংস।
দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় সিলেট। দলের স্কোর তখন মাত্র ৭ রান। এরপর নাসির ও ফ্লেচার ভালো খেললেও খুলনার বোলারদের বিপক্ষে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছিলেন না তাঁরা। দলীয় ৩৭ রানে ১২ বলে ১২ রান করে ফিরে যান নাসির। ১১তম ওভারে ফেরেন ফ্লেচারও। ৩০ বলে মাত্র ২৫ রান করেন এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার।
বাবর আজম ও সাব্বির রহমান চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। সাব্বির ২০ বলে করেন ৩১ রান। ১৯ বলে ২০ রান করেন বাবর। এরপর রস হুইটলি ও সোহেল তানভীররা যাওয়া-আসা শুরু করলে ১৪৫ রানেই শেষ হয় সিলেটের ইনিংস।
কুমিল্লার গ্রায়েম ক্রেমার ১৫ রানে নেন চার উইকেট।
প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ১৭০ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেটের বোলারদের আজ উড়িয়ে দিয়েছেন লিটন দাস, মারলন স্যামুয়েলস, শোয়েব মালিকরা।
কুমিল্লার হয়ে আজ জ্বলে উঠেছিলেন লিটন দাস। ৩৭ রানের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও জস বাটলারকে হারিয়ে বসা কুমিল্লার তাই বড় স্কোর গড়তে সমস্যা হয়নি। লিটন ও স্যামুয়েলস মিলে শাসন করেন সিলেটের বোলারদের। ৪৩ বলে ৬৫ রান করেন লিটন দাস। ৪৩ বলে ৫৫ রান করেন ক্যারিবীয় হার্ডহিটার মারলন স্যামুয়েলস। শেষের দিকে শোয়েব মালিকের ১৮ বলে ২৮ রানের ঝড়ে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com