আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জের পরিচালক শফিকুল ইসলামকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) থেকে তাকে ঢাকার খিলগাঁওয়ে বাহিনীর সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার এ অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে সই করেন সদর দফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মেহেদী হাসান।
শফিকুল ইসলাম বাহিনীতে বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত। পদোন্নতিতেও তাকে সুপারসিড করা হয়েছে। তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে একই পদমর্যাদার তিন পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবসে কুমিল্লা জেলার আলোচনা সভা ও শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শফিকুল ইসলাম। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এর দুই মিনিট পরই শুরু হয় অনুষ্ঠান।
কিছুক্ষণ পর অর্থাৎ ১০টা ৫০ মিনিটে তার মোবাইলে একটি কল আসে। কলটি রিসিভ করেই তিনি বেরিয়ে যান অনুষ্ঠান থেকে। তখন জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্চয় চৌধুরী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তার বক্তব্যের পর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন আর ফিরে আসেননি শফিকুল। এ ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় একটি ‘ক’ শ্রেণির অনুষ্ঠানের প্রতি অবজ্ঞা, অবমাননা ও শিষ্টাচারবহির্ভূত হিসেবে দেখা হয়েছে। এরপর কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে তাকে দুই দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এর আগে তথ্যসচিব মকবুল হোসেনের পর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তিন এসপি হলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার (টিআর) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আদান–প্রদান করতেন, কোনো কাজ করতেন না।
১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিন্ন ভিন্ন প্রজ্ঞাপনে এই পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com