কাল প্রথম বলে আউট হলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ এর হ্যাটট্রিক হবে শান্তর
বর্তমান সময়ে নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন। তার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত একজোড়া হাফসেঞ্চুরিতে (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫৫ বলে ৭১ আর পাকিস্তানের সাথে ৪৮ বলে ৫৪) মুখ রক্ষা। কিন্তু শান্ত কি আসলেই নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন?
তার ব্যাটে আসলেই কি ধারাবাহিকতা আছে? টুকটাক রান করছেন হয়তো, কিন্তু তার আউটগুলো বরাবরই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছে সামর্থ্য নিয়ে। নিয়মিতই নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে না। তার খেলার ধরন, ব্যাটিং শৈলীতেও দেখা মিলছে না কোন সৌন্দর্য, সৃষ্টিশীলতা। বারবার মনে হয়েছে ভীষণ আড়ষ্ট। সে কারণেই টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপে দু দুটি অর্ধশতক হাঁকানোর পরও শান্তকে নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই।
আর একই অবস্থা ওয়ানডেতেও। বরং ৫০ ওভারে ফরম্যাটে এ বাঁহাতি টপ অর্ডারের অবস্থাও আরও করুণ। ১৪ খেলায় একটি হাফসেঞ্চুরি নেই। একবারের জন্য চল্লিশের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। মোট রান মাত্র ১৮৯। গড় ( ১৩.৫০) আর স্ট্রাইকরেট ( ৬০.৯৬) তো লজ্জা দেবে তাকেও। এর মধ্যে নিজের শেষ দুই ওয়ানডেতে রানের খাতাই খুলতে পারেননি শান্ত। ফিরেছেন প্রথম বলেই।
গত ৪ ডিসেম্বর শেরে বাংলায় ভারতের বিপক্ষে যেমন উইকেটে গিয়ে প্রথম বলেই ০ রানে ফিরেছেন শান্ত, প্রায় ৪ মাস আগে এ বছর ১০ আগস্ট হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ‘গোল্ডেন ডাক’ ছিল বাঁহাতি এ টপ অর্ডারের। আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর শেরে বাংলায় যদি দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও প্রথম বলেই আউট হন, তাহলে ‘গোল্ডেন ডাকের হ্যাটট্রিক’ হয়ে যাবে শান্তর। কোনোরকম রেকর্ড না ঘেঁটেই বলে দেয়া যায়, বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠিত উইলোবাজের পর পর ৩ ওয়ানডেতে গোল্ডেন ডাক নেই।