এনামুল হক মনি, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের পর কুমিল্লা থেকে আর কেউ জাতীয় ক্রিকেটে সুযোগ পায় নি। তবে সেই বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে কুমিল্লার ছেলেরা যেন জাতীয় ক্রিকেটে ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যই এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা ক্রিকেট কমিটি। গত বছর কুমিল্লা স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য সব ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন উদ্বেলিত কুমিল্লার খুদে ক্রিকেটাররা। তারা চান অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে।
কুমিল্লা ক্রিকেট কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম রনি। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর কুমিল্লায় খুদে ক্রিকেটারদের উৎসাহ বেড়ে যায়। সাইফুল আলম রনি তার দায়িত্বকালে বেশ কিছু টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। যেখানে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের বাইরেও সাড়া জাগানো কাউন্সিলর কাপ, স্বাধীনতা কাপ টি-টেন টুর্নামেন্টের ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। স্বাধীনতা কাপ টি-টেন টুর্নামেন্টটি জেলা ছেড়ে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। দেশ বিদেশেও আশা জাগানিয়া হয়ে উঠে কুমিল্লার ক্রিকেট উন্মাদনা।
বিসিবির ফ্যাসিলিটিস কমিটির সদস্য সচিব ও বিসিবির কাউন্সিলর কুমিল্লা ক্রিকেট কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম রনি বলেন, আর যাই হউক সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের পরিচয় ফুটে উঠে ক্রিকেটের দেশ হিসেবে। এক সময় কুমিল্লা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে কুমিল্লার অনেক খেলোয়ার নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমান করেছে। মাঝে কিছু সময় পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে ক্রিকেটাররা নিরুসাহিত হয়ে যায়। আমি সেই শূণ্যতাকে উপলব্দি করে কুমিল্লার ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি। সারা বছর যেন স্টেডিয়ামে আমাদের ছেলেরা ম্যাচ খেলতে পারে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠে ফিরেছে ক্রিকেটাররা। আশাকরি আগামী কয়েক বছরেই কুমিল্লা থেকে জাতীয় ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ভালো মানের ক্রিকেটার তৈরী হবে।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস বলেন, এখন আমাদের অনেক খেলোয়ার জেলা ও বিভাগীয় ভাবে পর্যায়ে ভালো খেলছে। সে জন্য কুমিল্লা ক্রিকেট কমিটি দারুণ ভূমিকা রাখছে। আমরা আশাকরি গেলো অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী মাহমুদুল হাসান জয়ের মতই কুমিল্লার খুদে ক্রিকেটাররা জাতীয় ক্রিকেটে ভূমিকা রাখবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com