গত রবিবার ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টানটান উত্তেজনার কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের পর স্কোরলাইন ছিল ৩-৩ সমতায়। লা আলবিসেলেস্তেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতার রেশ এখনও কাটেনি। বিশ্বজুড়ে চলছে উদযাপন। ভক্ত সমর্থকদের মুখে চলছে লিওনেল মেসি বাহিনীর বন্দনা।
এরই মধ্যে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসলেন নাইজেরিয়ার কিংবদন্তি ফুটবলার জুলিয়াস আগাহোয়া। ফাইনালে ২৩ মিনিটে মেসির স্পট কিক থেকে করা গোলে এগিয়ে যায় ল্যাটিন আমেরিকার জায়ান্টরা। ডি বক্সে ডি মারিয়া ফাউলের শিকার হলে প্যানাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এ গোলটি নিয়েই আগাহোয়ার আপত্তি।
প্রথমার্ধের আরও একটি গোল আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা। ২-০ গোলের লিড ৭৯ মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখে লিওনেল স্ক্যালোনির দল। সব আশা যখন শেষ হয়ে যাচ্ছিল, তখন ৯৩ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সকে ম্যাচে ফেরান পিএসজির তারকা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরমধ্যে স্পট কিক থেকে করা একটি গোল ছিল।
নির্ধারিত সময়ে দুই দলের স্কোরলাইন ২-২ সমতায় থাকে, ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয়, দলের তৃতীয় গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন মেসি। স্পট কিক থেকে সেই গোলটার শোধ দিয়ে আরও একবার ফরাসিদের ত্রাতা বনে যান এমবাপ্পে। এই যাত্রায়ও দুই দল সমতায় থাকায় ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কল্যাণে বাজিমাত করে আর্জেন্টিনা। সেই সাথে আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটে।
এদিকে আগাহোয়া মূলত আর্জেন্টিনার পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে হতবাক হয়েছেন। ব্রিলা এফএমকে তিনি বলেন, ‘ডি মারিয়াকে স্পর্শ করা হয়নি। আগেই ম্যাচের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে কি এসব ঘটনা ভিএআর দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত নয়? এটাই প্রমাণ করে যে বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনা এবং বিশেষ করে লিওনেল মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com