এবার কুমিল্লার মাঠ জুড়ে সরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কুমিল্লায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ সরিষার আবাদ হয়েছে এ জেলায়। সরিষার হলুদ ফুলে রঙিন হয়ে উঠছে কৃষকের মুখ।

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার কুমিল্লায় অনেক বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। অল্প পুঁজি ও কম শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর কুমিল্লা জেলায় ১৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি। ২০২১ সালে এ জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল আট হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল নয় হাজার মেট্রিক টন সরিষা। এবার সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন, যা গেল বছরের তুলনায় তিন গুণের চেয়ে বেশি। সরিষা চাষে জেলাব্যাপী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার কৃষক জড়িত।

জেলার অন্যান্য জায়গার তুলনায় গোমতী নদীর পাড়ের মাটি সরিষা চাষের জন্য অধিক উপযোগী। গোমতী নদীর দক্ষিণ পাড় ঝাকুনীপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হচ্ছে সরিষার। সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করতে মৌমাছি উড়ছে।

ঝাকুনীপাড়ার কৃষক মোহন মিয়া বলেন, আমি এবার ৩০ শতক জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি এতে ভালো লাভ হবে।

বুড়িচংয়ের চরানল গ্রামের খালেক বেপারী, মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরের মহিউদ্দিন মোল্লা, গোমতী নদীর পাড়ের বাবুল মিয়া ও মোহন মিয়াসহ প্রায় অর্ধশত কৃষক জানান, এবার সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। 

কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়। কুমিল্লায় সরিষা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে।