আমি খেলোয়াড় হলে বিপিএলে না খেলে আইপিএলে খেলতাম: সুজন
এক সময় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ছিল বেশ জমজমাট। বিদেশি তারকাদের দেখা মিলতো নিয়মিত, ক্রিকেটের মানও ছিল ভালো। বিসিবি কর্মকর্তারা তো দাবিও করতেন, আইপিএলের পর দ্বিতীয় সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হিসেবে। তবে সময়ের সঙ্গে জৌলুশ হারিয়েছে বিপিএল। অন্যদিকে সিপিএল, পিএসএলের মতো আসরগুলো এগিয়ে নিয়েছে নিজেদের। এখন বিপিএল মানে যেন বিতর্কই বেশি। বিসিবি পরিচালক ও খুলনা টাইগার্সের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এ নিয়ে কথা বলেছেন।
আজ মঙ্গলবার মিরপুরে দলের অনুশীলনের আগে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে কেবল একটি কোম্পানি আছে যারা ডিআরএস প্রোভাইড করে। একসঙ্গে তিনটা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। এজন্য একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে যতটুকু আমি জানি। আর পেশাদারিত্ব হিসেবে আমরা খুবই ভালো ছিলাম। আইপিএলের পর আমরা ছিলাম। বাট সবাই হয়তো টপকে গেছে। অনেকেই হয়তো ভালো করছে।’
তিনি বলেন, ‘এটাও সত্য কথা যে, আমাদের ফ্রাঞ্চাইজি যারা আসছে এটা উন্মুক্ত(বিদেশী) করার পরও ড্রাফট থেকে খুব ভালো খেলোয়াড় আমরা পাইনি। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা টুর্নামেন্ট করছে। যারা ওখানে খেলছে তারা কিন্তু আইপিএল ভিত্তিক দলই। তাদের জন্য মুখ্য ভূমিকা থাকে আইপিএল খেলার। খেলোয়াড়রা কিন্তু আলটিমেটলি চায় ওইসব টুর্নামেন্ট খেলতে যেন আইপিএলের নজর কাড়তে পারে। আমি খেলোয়াড় হলে বিপিএলে না খেলে আইপিএলে খেলতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইপিএলের মতো তো কোনো ফ্রাঞ্চাইজি লিগ নেই। আমি খেলোয়াড় হলে বিপিএলে না খেলে আইপিএলে যেতেম, এটা খুবই স্বাভাবিক। এটার কারণেই আমরা একটু পিছিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সাথে আমারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘ফ্রাঞ্চাইজিতে স্থায়িত্ব আনতে হবে। এখানে লাভ ভাগাভাগির ব্যাপারটাও আসে। খালি ব্যবসায়ীরা এসে ১০-১৫ কোটি টাকা খরচ করছে বিনিময়ে কি নিয়ে যাচ্ছে? হয়তো স্পন্সর পাচ্ছে। কিন্তু স্পন্সর থেকেও যে বিশাল অঙ্কের টাকা তুলতে পারছে তাও না। একটা টিম কিন্তু আসে, এক-দুই-তিন বছর থাকে। তখন ৩ কোটি টাকা ক্ষতি করে। তিন বছর পর এই ক্ষতিটা কিন্তু করবে না কেউ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি ৮ বছরের জন্য দল নিলেন। প্রথম তিন বছর লস করবেন তারপর একটা ব্রেক ইভেনে যাবেন, এরপর লাভ করা শুরু করবো। ওরকম না হলে কিন্তু সবাই আসতে চাইবে না। দিনশেষে তারা সবাই ব্যবসায়ী। তারা ব্যবসাটাই বুঝবে। আমি বিশ্বাস করি এরকম দলও থাকবে যারা লম্বা সময়ের জন্য খেলবে।’