কুমিল্লায় কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। টানা চার দিন ধরে নেই সূয়ের দেখা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। পাশাপাশি বইছে হিমেল বাতাসও। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনকনে শীতে অপ্রয়োজনের ঘরের বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না। অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ দিনের বেলায়ও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে শীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, এ শীতে অধিক ঝুঁকিতে শিশু ও বৃদ্ধরা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখতে সবাইকে গরম কাপড় পরতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বাসি ও বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। শ্রমজীবী মানুষ ব্যতীত শিশু ও বয়স্করা যেন ঘর থেকে বের না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ৩ জানুয়ারি এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ২৬.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর গত দুদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পুনরায় কমে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, সর্বোচ্চ ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, চারদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে তাপমাত্রা ক্রমশই হ্রাস পেতে থাকে। ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা শীতের তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com