এই প্রথম দেখলাম এমন রিভিউ সিস্টেম, আমরা ঘরোয়া লিগেও এটা ব্যবহার করি না: ম্যাকেরেন
বর্তমান সময়ে ক্রিকেটে বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। তবে গত আসরের ন্যায় এবারও নেই ডিআরএস। বিকল্প হিসেবে বিপিএলে দেখা যাচ্ছে এডিআরএস (এডিশনাল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। যার মাধ্যমে বিতর্ক কমার পরিবর্তে বরং বাড়ছে। এমন প্রযুক্তি নিয়ে গতকাল ম্যাচ শেষে পল ভ্যান ম্যাকেরেন জানান, এডিআরএস ব্যবহার করা হয় না যুক্তরাজ্যের ঘরোয়া লিগেও।
এদিকে বিপিএলের এবারের আসর শুরুর কদিন আগে টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে গ্রুপ পর্বের খেলায় পাওয়া যাবে না ডিআরএসের সুবিধা। যা নিয়ে সমালোচনা করেছেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মন্তব্য করেছিলেন বিসিবির সদিচ্ছা নিয়ে। যদিও সেই সমস্যা মিটেনি।
বিপিএল শুরু হয়েছে ডিআরএস নয় এডিআরএসকে সঙ্গী করে। যেখানে ডিআরএসের মতো হক আই কিংবা অন্যান্য সুবিধা নেই। যার ফলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে এসেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সৌম্য সরকারের উইকেট নিয়ে রীতিমতো নাটক মঞ্চায়ন হয়ে গেছে। নাসুম আহমেদের বলে সৌম্যর বিরুদ্ধে লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন করেছিলেন খুলনা টাইগার্সের ক্রিকেটাররা। সাড়া দিয়ে আউট দেন অন ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল।
এরপর রিভিউ কাণ্ড, টিভি আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত। বল গ্লাভসে লাগায় শেষ পর্যন্ত সৌম্যকে নট আউট দিতে বাধ্য হন টিভি আম্পায়ার। এরপর কড়া মেজাজে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন তামিম ইকবাল। বিতর্ক এড়াতে চাইলেও এডিআরএসে কমাতে পারেনি বিসিবি। নিজের দেশ ও সহযোগী দেশগুলোর উদাহরণ টেনে বিসিবিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন ভ্যান ম্যাকেরেন।
গতকাল ম্যাচ শেষে খুলনার হয়ে খেলা নেদারল্যান্ডসের এই পেসার বলেন, ‘এটা খুব হতাশাজনক। ম্যাচের ভুলগুলো কমাতেই আপনি ডিআরএস সিস্টেম আনবেন। যুক্তরাজ্যে ঘরোয়া লিগে আমরা এটা ব্যবহার করি না। নেদারল্যান্ডসে বেড়ে উঠেছি, ওখানেও নেই। সহযোগি দেশগুলোতেও নেই। আপনাকে মুভ অন করতে হবে। দিনশেষে সেরা দলই ম্যাচ জিতবে।’ এমন প্রযুক্তি এবারই প্রথম দেখেছেন বলেও জানান এই ডাচ পেসার। সবাইকে এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বলছেন তিনি।
ম্যাকেরেন বলেন, ‘না, এই প্রথম দেখলাম এমন। প্রথমে জানতামই না যে আমাদের রিভিউ সিস্টেম আছে। পরে গতকালকে রাতে ম্যাচ দেখলাম একটা, ক্যাচের জন্য রিভিউ নিয়েছিল; কিন্তু কোনো স্নিকো ছিল না, এটা শুধু ক্যামেরা দিয়েই দেখা হয়। তাই বিশেষত সুক্ষ্ম ক্যাচগুলোর ক্ষেত্রে, এই প্রযুক্তি দিয়ে বের করা কঠিন। আমি এটার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার মনে হয় ক্রিকেটার, স্টাফ, আম্পয়ারের এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। দিনশেষে, আমাদের কেবল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে।’