লাকসামে মোবাইল টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন জামেলা আক্তার বৃষ্টি ও আলাউদ্দীন। বিয়ের ছয় মাস পর মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে গভীর রাতে স্ত্রী বৃষ্টির লাশ শ্বশুরবাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যায় আলাউদ্দীন। পরে বৃষ্টির ভাইকে ফোন করে জানায়।
এ সময় আলাউদ্দীনের সঙ্গে আসা দুই সহযোগী ও একটি সিএনজি আটক করেন স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় লাকসাম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিমাগাঁও কলেজপাড়া এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও জনতার হাতে আটককৃত দুই ব্যক্তি এবং তাদের যাতায়াতকৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
নিহত জামেলা আক্তার বৃষ্টি (১৮) পৌরসভার পশ্চিমগাঁও কলেজপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক জামাল মিয়ার মেয়ে। পলাতক স্বামী আলাউদ্দিন (২৭) নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদের ছেলে।
আটক হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন- নোয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকার সিএনজি চালক বেলায়েত হোসেন ও সহযোগী বাসা ভাড়াটিয়া আশিকুর রহমান।
বৃষ্টির বড়ভাই মোহাম্মদ খোকন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আলাউদ্দীন ফোন করে বলেন বৃষ্টি মারা গেছে। এরপর রাত সাড়ে ১২টায় আলাউদ্দীন ফোন করে বলে তোমার বাড়ির সামনে একটি দোকানের পেছনে রাস্তার পাশে তোমার বোনের মরদেহ রাখা আছে। পারলে ঘর থেকে বেরিয়ে বৃষ্টিকে নিয়ে যাও। এ কথা শুনে ঘর থেকে এগিয়ে এসে দেখি দ্রুতগতিতে একটি সিএনজি চলে যাচ্ছে। আমি আর্তচিৎকার দিলে এলাকার স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে সিএনজিসহ দুইজন ব্যক্তিকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যায় বৃষ্টির স্বামী আলাউদ্দীন।
লাকসাম থানার এসআই আশরাফুল আলম বলেন, তরুণীর মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক, রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সিএনজিচালক বেলাল ও আশিক নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com