এই শীতে অন্যতম প্রিয় সবজি বাঁধাকপি। বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয় এই সবজি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। দেশে উৎপাদিত বাঁধাকপির প্রায় সব জাতই বিদেশি ও হাইব্রিড।
ইউরোপ থেকে আগত লাল বাঁধাকপি কুমিল্লায় চাষের উপযোগী। এরইমধ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নিজস্ব আঙ্গিনায় পরীক্ষামূলকভাবে লাল বাঁধাকপি উৎপাদন করে সফলতা দেখিয়েছেন। লাল রঙের এই বাঁধাকপিও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি। এটি রান্না করে এবং কাঁচা উভয়ভাবেই খাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের মধ্যকার সময় হল লাল বাঁধাকপির চারা বপন করার উপযুক্ত সময়। বীজতলায় বেড করার ক্ষেত্রে জমি খুব ভালো করে তৈরি করে বীজ পুঁততে হয়। প্রতি বর্গমিটার বেডের জন্য ১ কেজি হারে পঁচা গোবর সার মাটির সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হয়। প্রতি হেক্টর জমির চারা তৈরি করতে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম বীজের দরকার। ১ গ্রাম বীজ থেকে প্রায় ১০০টি চারা গজানো সম্ভব। এই জাতীয় বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ। সাদা বাঁধাকপি থেকে পুরু আবরণ যুক্ত এই সবজি, মচমচে এবং লালচে বেগুনি বর্ণের হয়।
কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, দেশে ইদানিং বেশ কিছু জায়গায় লাল বাঁধাকপির চাষ হচ্ছে। কৃষকরাও এই চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। ধীরে ধীরে লাল বাঁধাকপির চাহিদা বাজারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, অনেক তরুণ কৃষকও এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কুমিল্লায় লাল বাঁধাকপি চাষে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যারা এটা চাষ শুরু করেছেন অবশ্যই অগভীর করেই লাল বাঁধাকপির বীজ পুঁতে রাখবেন। খেয়াল রাখতে হবে বীজ যাতে মাটির বেশি গভীরে না যায়। রোদে বা অতিবৃষ্টিতে বীজতলার ক্ষতি যাতে না হয়, তাই বীজ বপন করার পর বীজতলায় ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com