নওগাঁর মহাদেবপুরে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কোনো শিক্ষিকা সন্তান (বাচ্চা) নিলে অনুমতি নিতে হবে বলে হুমকি দেন ওই প্রধান শিক্ষক!
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চকরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ জনই নারী শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসাইন তার অধীনে কর্মরত সহকারী শিক্ষিকাসহ ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতির (মহিলা) সঙ্গে অশালীন আচরণ, যৌন নিপীড়ন, যৌন উত্তেজক কথাবার্তা, ফেসবুক মেসেঞ্জারে কুরুচিপূর্ণ বার্তা লেখাসহ একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন।
এসব শিক্ষিকা আরও অভিযোগ করেন, কোনো শিক্ষিকা কখন বাচ্চা নেবেন তাও প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে নিতে হবে, কোনো শিক্ষিকা বদলি হতে চাইলে তাদের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে যে প্রতিষ্ঠানে যাবে সেখানে গিয়ে বিয়ে করতে বলেন তিনি। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে বসে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ওই সব মহিলা শিক্ষিকাদের হাতে পাতলা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।
এ বিষয়ে চকরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসাইন বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে।
এর বেশি কিছু বলতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলা ডিপার্টমেন্টের নিষেধ আছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, চকরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাফিয়া আক্তার অপু বলেন, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। যেহেতু শিক্ষকদের ব্যাপার বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com