শয়তানকে হারাতে না পারলে তো জান্নাত হারাতে হবে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

শয়তানের সঙ্গে আমাদের লড়াই চিরন্তন। বেশিরভাগ লড়াইয়ে সে আমাদেরকে হারিয়ে দেয়। আমাদের মাধ্যমে অন্যায় করায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর রহম করে প্রতি বছর একবার (রমজানে) শয়তানকে বেঁধে রাখেন। উদ্দেশ্য- আমরা যেন এই সুযোগে তাকে হারিয়ে দিই। কিন্তু শয়তানকে হারাতে না পারলে তো জান্নাত হারাতে হবে!

রোববার (২ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ কথা বলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিদগ্ধ আলোচক, লেখক ও খতীব শায়খ আহমাদুল্লাহ।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে করা তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

“পিঠাপিঠি দুই ভাই। ছোট ভাইয়ের সাথে বড় ভাইয়ের ফাইট হয় প্রায়ই। ছোটকে সব সময় কুপোকাত করে বড় ভাই। মাঝেমধ্যে ছোট পুত্রের প্রতি মায়া হয় বাবার। বাবা তাই হঠাৎ হঠাৎ বড়টাকে ধরে রেখে পিচ্চিকে ইশারা করেন—তুমি এবার সুযোগ কাজে লাগাও।

পিচ্চি তখন আচ্ছামতো মনের ঝাল মিটিয়ে জেতার তৃপ্তি নিয়ে বাবার নিরাপদ ছায়ায় আশ্রয় নেয়। তারপর বড়জনকে ছেড়ে দেন বাবা।

শয়তানের সঙ্গে আমাদের লড়াই চিরন্তন। সে চায় আমাদেরকে জাহান্নামে নিতে, আর আমাদের প্রকৃতি চায় জান্নাতে যেতে। শয়তান বয়স ও শক্তিতে আমাদের চেয়ে অনেক বড়। তাই বেশিরভাগ লড়াইয়ে সে আমাদেরকে হারিয়ে দেয়। আমাদের মাধ্যমে অন্যায় করায়।

আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর রহম করে প্রতি বছর একবার (রমজানে) শয়তানকে বেঁধে রাখেন। উদ্দেশ্য—আমরা যেন এই সুযোগে তাকে হারিয়ে দিই। ভাইকে হারাতে না পারলে কিছু এসে যায় না, কিন্তু শয়তানকে হারাতে না পারলে তো জান্নাত হারাতে হবে! এ তো বাঁচা-মরার লড়াই!

বাবার চেয়েও বহু দয়ালু রব্বে কারীমের দেয়া এই মোক্ষম সুযোগেও যদি আমরা শয়তানকে কুপোকাত করতে না পারি, তবে আর কোনো দিনই কি পারব?”

পোস্টের শেষে মন্তব্যের ঘরে তিনি আরও লেখেন, “জীবনের সকল ক্ষেত্রেই আমরা জিততে চাই। যে কোনো পরাজয় আমাদেরকে বিমর্ষ করে। শুধু একটি জায়গা, শয়তানের কাছে হারলে আমাদের কোনো লজ্জা বা আফসোস হয় না। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।”

ইসলাম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখালেখিও করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে তার লেখা প্রকাশিত হয় প্রায় সময়। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। আরবিতেও প্রকাশিত হয়েছে তার বহু লেখা। শায়খ আহমাদুল্লাহ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব। পাশাপাশি সেখানকার একটি মাদরাসা পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।

আরো পড়ুন