কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কাজুবাদাম

চা চাষের পর এবার লাল মাটির পাহাড় হিসেবে খ্যাত কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে চাষ হচ্ছে কাজুবাদাম। এক সময় বনজঙ্গলে পরিণত হওয়া সেই পাহাড়ে এখন দোল খাচ্ছে কাজুবাদামের মুকুল। পরিত্যক্ত জায়গাকে কাজে লাগিয়ে বিশাল এরিয়া নিয়ে গড়ে উঠেছে কাজুবাদাম বাগান। বৃষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে পাহাড়ের ওপরে বসিয়েছে পানির পাম্প। ২০২০ সালে মজুমদার চা বাগানের মালিক তারিকুল ইসলাম মজুমদার কাজুবাদাম বাগান প্রতিষ্ঠান করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিন বছর আগে মাত্র ৮০টি চারা দিয়ে শুরু করা কাজুবাদামের বর্তমানে গাছের সংখ্যা ২৮০টি। পাহাড়ের নির্জন এই পরিত্যক্ত ভূমিতে এখন চাষ হচ্ছে চা পাতা,কাজুবাদাম, কফি,হলুদ, আলু, কচুর ছড়াসহ আরো অনেক কিছু। তবে বৃষ্টির অভাবে ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে মালিকদের।

কাজুবাদাম বাগান পরিচর্যাকারী শ্রমিক রাজু বলেন, তিন বছর ধরে এখানে কাজুবাদাম চাষ করছি। চা পাতা চাষের পাশাপাশি কাজুবাদাম ও কফি চাষ করি। গতবছর মাত্র ৬ পিচ কাজুবাদাম পেয়েছি। এ বছর প্রতি গাছে যেভাবে ফুল এসেছে আশা করছি এবার ভালো ফলন হবে। লালমাই পাহাড়ের মাটি উর্বর। এখানে যা চাষ করবে তাই হবে। স্যার বলছে এবার ভালো ফলন হলে সামনে কাজুবাদাম চাষ আরো বৃদ্ধি করবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালো ফলনের জন্য। আশা করি এবার ভালো ফলন হবে।

আরেক শ্রমিক দিপালী শিং বলেন, লালমাই পাহাড়ের মাটি কাজুবাদামের জন্য খুবই উপযোগী। এখানকার কাজুবাদাম দেখতে সুন্দর লাগবে এবং খেতেও মজা পাবে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক মো.মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লাতে মাত্র ২-৩ হেক্টর জায়গায় কাজুবাদাম চাষ হয়। কাজুবাদাম কুমিল্লার লালমাই ছাড়া আর কোথাও আপাতত চাষ হচ্ছে না। তবে আমরা চাচ্ছি যদি লালমাইর মতো উচু জায়গায় পরিত্যক্ত ভূমি পাওয়া যায় তাহলে কাজুবাদাম চাষে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবো।

আরো পড়ুন