কুমিল্লা গোমতী নদীর চরে তিলের ভালো ফলনে খুশি কৃষকরা
তিলের সাদা ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছির দল। কিছু জমির তিল ফসল পরিপক্ব হওয়ায় কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। ভালো ফলনে পেয়ে খুশি তারা।
গোমতী নদীর চরে ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের চিহ্ন এখনও স্পষ্ট। তার মাঝেই পতিত জমিতে আবাদ হয়েছে তিল। চরজুড়ে যেন তিলের উৎসব। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকার গোমতীর চরে দেখা মেলে এমন চিত্র।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেন, তিলের পুষ্টিগুণ অনেক। এটি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। সাধারণ রান্না ও বেকারিপণ্য তৈরিতে এটি ব্যবহার করা যায়। এ কারণেই বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) তিলের উন্নত জাত উদ্ভাবন করে কৃষি দপ্তরের সহায়তায় এর আবাদ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। বিনা তিল-২ তেমনই একটি জাত, যা আবাদ হয়েছে গোমতীর তীরে।
উপজেলার পালপাড়া গ্রামের কৃষক মনোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, গোমতীর চরে আমার কিছু জমি পতিত পড়ে ছিল। এখানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিনা তিল-২ চাষ করেছি। ৩৩ শতক জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন পেয়েছি।
এ বিষয়ে বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আশিকুর রহমান বলেন, বিনা তিল-২ উচ্চফলনশীল জাত। এটি খরাসহিষ্ণু ও বাজারমূল্য বেশি। তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বাড়াতে আমরা বিনা তিল-২ চাষ করেছি। গোমতী নদীর চরের পতিত জমিসহ জেলার ২০০ হেক্টর জমিতে এটি চাষ হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামী বছর ৬০০ হেক্টর জমি তিল চাষের আওতায় আনতে পারব।