কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে দিনে ঘুষ ওঠে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা!

আনুষ্ঠানিকতার নামে হয়রানি বন্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে সাত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানি মুলতবি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।

পরে অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছকে বাঁধা দুর্নীতির চরকি ঘুরছে পাসপোর্ট অফিসে। যেন লাগাম টানার কেউ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেক দিকে খুলে দেওয়া হয় ঘুষের নতুন পথ। এভাবে বেশিরভাগ পাসপোর্ট অফিসে রমরমা ঘুষ বাণিজ্য এখনও বহাল। কথিত ‘চ্যানেল মাস্টারের’ মাধ্যমে অধিকাংশ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন ঘুষ তোলা হয়। ঘুষের অঙ্কের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ ওঠে হাতে হাতে। ঘুষের সদরদফতর হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস। দিনে এখানে ঘুষ ওঠে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা।

রিট আবেদনে সারাদেশে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত-সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। এছাড়াও রিটে পাসপোর্ট ইস্যু করার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

আরো পড়ুন