কুমিল্লার ‘বসের’ দাম ১৬ লাখ টাকা
কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের তানহা ডেইরী ফার্মে। একটি সারের ওজন পনেরশো কেজি আদর করে নাম রাখা হয়েছে কুমিল্লার ‘বস’। আসন্ন ঈদুল আযহা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সারটি। খামারের মালিক এটির দাম আখছেন ১৬ লাখ টাকা।
শুধু কুমিল্লার বসই না কুমিল্লার কালো মানিক ও কুমিল্লার টাইগার নামে আরও দুটি বিশাল দেখতে আরো দুটি বিশাল দেহের সার রয়েছে। রাত দুটির ওজন যথাক্রমে ১৩০০ কেজি ও ১২০০ কেজি। এ সার দুটোর দামও ১২ লাখ টাকার উপর। বিদেশী জাতের গরু ও মাঝারি সাইজের দেশী গরু মিলিয়ে খামারটিতে বর্তমানে গরু রয়েছে।
খামারির মালিক জানান তিনি সৌদি প্রবাসী ২০১৫ সালে উন্নত জাতের পাঁচটি গরু নিয়ে খামার প্রতিষ্ঠিত করেন। তার খামারে পাঁচজন কর্মচারী রয়েছে যারা সার্বক্ষণিক খামারের দেখভাল করেন। তার খামার দেখে এলাকার মানুষ খামার করতে উৎসব পাচ্ছেন বলেন তিনি।
খামারি মো হানিফ বলেন, বিদেশ থেকে ফিরে খামার করার উদ্যাগে নেই। আমার খামারে দেশী বিদেশি জাতের বহু গরু আছে। আমি প্রাকৃতিক উপায়ে গরু লালন পালন করে থাকি।
আসন্ন কুরবানির ঈদে ৩টি উন্নত দেশীয় জাতের গরু বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।এই খামারে সবচেয়ে বড় গরু ’কুমিল্লার বস’ নামের গরুর দাম নিধারন করেন ১৬ লক্ষ যার ওজন ৩৫ মণ, ’কুমিল্লার কালো মানিক’ যার ওজন ১ হাজার কেজি ও ’কুমিল্লার টাইগার’ যার ওজন ১ হাজার কেজির উপরে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব ফরমুলা প্রাকৃতিকভাবে চাষ করে খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে।
খামারের কর্মচারী জানান, আমরা গরুকে মোটা তাজা হওয়ার জন্য কোনো মেডিসিন দিই না। গরুকে পিওর জিনিস খাওয়াই।
এ খামারে দেশীয় খাবার খর, ভুষি, খোল ও ঘাস খাইয়ে তোলা হয়েছে গরুগুলোকে। গো খাদ্যের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করতে দুই বিঘা জমিতে ঘাসও চাষ করছেন।