কুমিল্লায় করলার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি
জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে জামতলা এলাকা। পাহাড়ের ঢাল এবং সমতল ভূমিতে করলার মাচা। করলা সংগ্রহ করে চাষিরা মাচার পাশে স্তুূপ করছেন। কয়েকজন শ্রমিক করলা বাজারে নেওয়ার জন্য ঝুড়িতে সাজিয়ে নিচ্ছেন। লালমাই পাহাড়ে এরকম করলার চাষ করতে দেখা যায় অনেক কৃষককে। প্রথম দেখায় সবুজ পাতায় ছেয়ে যাওয়া মাচায় যে কারো চোখ আটকে যায়। এবার করলার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা অনেক খুশি।
তিতকুটে স্বাদের করলা এখন কুমিল্লার চাষিদের মুখে মিষ্টি হাসি এনে দিয়েছে। এ জেলার উৎপাদিত করলা এখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে চাষিরা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই এ জেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চাষিরা করলা সবজি চাষে উৎসাহিত হয়ে করলা চাষ করে স্থানীয় বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে ভালোই লাভের মুখ দেখছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসে নিমসার বাজারে এবং ক্রেতারা তাদের থেকে বিভিন্ন দামে করলা ক্রয় করে মিনি ট্রাক যোগে সকাল ১০টার মধ্যেই রওয়ানা হয়ে যায় নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি করছে।
কুমিল্লার নিমসার বাজারে এসে ঢাকার কাওরান বাজারের মনির হোসেন নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, কুমিল্লার করলার গুণগত মান ভালো ও এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে সরবরাহ করছেন।
লালমাইয়ের করল্যা চাষি কায়কোবাদ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন। বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা জানান যে, প্রতিদিন নিমসার বাজার হতে প্রায় ১শ’ থেকে ১৫০টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। জামতলার কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, ১৫ বছর ধরে তিনি সবজির চাষ করেন। করলা চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। বাজারে করলা নিয়ে যাবেন-তাই তাড়াহুড়ার মধ্যে জানালেন, ৩৬ শতক জমিতে করলা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ জমি থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারবেন। পাইকারি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করেন। যা খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আইউব মাহমুদ বলেন, সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড় এলাকার ৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে। যেখানে পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমির দোঁআশ মাটিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।