লাকসামে বিএনপির প্রার্থী ও কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্টঃ আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহ আলম ও তাঁর কর্মীদের উপর কয়েক দফা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর এবং ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপির ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহীদুল ইসলাম শাহীনের কর্মীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন।
এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের আউশপাড়া এলাকায় সিএনজি অটোরিকসাযোগে মাইকের মাধ্যমে তাঁর প্রচারণা চলছিল। এ সময় প্রতিপক্ষের কর্মীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাঁর প্রচারণায় বাধা দিয়ে সিএনজি চালক ও প্রচারকারীকে মারধর করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে বামন্ডা গ্রামে পৌঁছলে ১৫/২০টি মোটরসাইকেলযোগে একদল সন্ত্রাসী এসে তাঁর উপর হামলার চেষ্টা চালায়।
এ সময় ওই সন্ত্রাসীরা তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে। এছাড়া ওইদিন রাতে মুদাফফরগঞ্জ বাজার এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ৪০/৫০ বহিরাগত সন্ত্রাসী আমার কর্মীদের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার ৩ জন কর্মীসহ মোট ৫ জনকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যালে প্রেরণ করে।
বিএনপির ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, এর আগেও একাধিকবার আমার উঠান বৈঠক ও প্রচারণায় হামলা চালানো হয়েছে।
আমার নিজ গ্রাম ছাড়া পুরো ইউনিয়নের কোথাও আমার পোস্টার লাগাতে পারছি না। পুরো ইউনিয়ন বহিরাগত সন্ত্রাসীতে ভরে গেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ দেখছি না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। বরং তিনি (বিএনপির প্রার্থী) আমার নেতাকর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন কালের কন্ঠকে বলেন, ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাকে বিষয়গুলো মোবাইলফোনে জানিয়েছেন। আমি তাঁকে বলেছি প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিতে। তবে এখনও তাঁর লিখিত অভিযোগ আমার হাতে পৌঁছেনি। অভিযোগ হাতে পেলে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ