কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০১১ সালে ৪৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থাপনের ১ বছরের মধ্যেই প্যানেলটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
এটা শুধু অভিযোগ নয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরেজমিন অভিযানেও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (৭ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সোলার প্যানেল মেরামত না করে দীর্ঘদিন যাবত অকেজো অবস্থায় ফেলে রাখার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের কুমিল্লা অফিস থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযানকালে দুদক টিম দেখতে পায়, ২০১১ সালে ৪৯ দশমিক ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে ৮ দশমিক ৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। কিন্তু সোলার প্যানেলটি স্থাপনের ১ বছরের মধ্যেই প্যানেলটি অকেজো হয়ে গেলে প্যানেলটি মেরামতের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
পরিদর্শনকালে দেখা যায়, প্রকল্পটিতে মোট ৩৬টি প্যানেল, ২৪টি ব্যাটারি ও ৩টি ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এগুলো সবই অকেজো অবস্থায় রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি প্রকল্প সমাপ্তির ২ বছর পর্যন্ত মেরামতের দায়-দায়িত্বে ছিল এবং প্রায় দুই বছরের মাথায় তাদের জামানত ফেরত দেওয়া হয়। রেকর্ড মোতাবেক পরবর্তী আরও ৪ বছর পর্যন্ত উক্ত কোম্পানি কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে উক্ত প্রকল্পের যন্ত্রপাতি মেরামত করে সচল রাখার কথা থাকলেও সেগুলো সচল রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়।
অভিযানকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। টিম শিগগিরই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com