প্রবাসে কাজ পছন্দ না হওয়ায় কুমিল্লা ফিরে চাচাতো ভাইকে হত্যা

প্রবাসী চাচার সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন চাচাতো ভাই মাদরাসাছাত্র শিশু ইব্রাহিম খলিলকে হত্যা করেন ঘাতক জেঠাতো ভাই আল আমিন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লার বরুড়া থেকে সুনামগঞ্জের ছাতকে পালিয়ে যাওয়া আল আমিনকে বুধবার গ্রেফতার করে বরুড়ায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আল আমিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কুমিল্লার বরুড়ায় মাদসারাছাত্র ইব্রাহিম খলিলের হত্যাকারী আল-আমিনকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ভবানীপুর ইউনিয়নের এগারগ্রাম ফরিদ ব্রিকসের পূর্ব দিকে ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমানের বাড়ির পশ্চিম দিকে (মধ্য-জলা) মকবুল আহমদের বাড়ির বাগান থেকে ইব্রাহিমের মরদেহ উদ্ধারের পর গাডাকা দেন আল-আমিন।

আল-আমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিমের মরদেহের খবর পাওয়ার পরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আলামিন। বরুড়া থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সুনামগঞ্জের ছাতকে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আল-আমিনকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, নিহত ইব্রাহিম খলিলের বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মো. মাসুদ। তার আপন ভাতিজা আল-আমিনকে তার কাছে নিয়ে চাকরি দেন। কিন্তু আল-আমিনের কাজ পছন্দ না হওয়ায় চাচার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে আল-আমিন দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর আল-আমিন তার চাচার ছোট ছেলে মাদরাসাছাত্র ইব্রাহিম খলিলকে কৌশলে হত্যা করেন।

এ ব্যাপারে ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, মামলার মূল আসামি আল-আমিনকে এরমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন