কুমিল্লায় সবুজ পাহাড়ে হলুদ চাষের সমারোহ

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রাম। এটি এখন মসলা জাতীয় অর্থকরী ফসল হলুদের গ্রাম নামেই পরিচিতি পেয়েছে। মুনাফা বেশি হওয়ায় কুমিল্লার ওই গ্রামের বেশিরভাগ কৃষক হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। এখানকার মাটিও হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
নোয়াপাড়া গ্রাম ছাড়াও কুমিল্লার লালমাই, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ায় হলুদ চাষ হয়ে থাকে। এবছর এসব এলাকায় প্রায় দুশ’ ১০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। গ্রামগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। আর এ সবুজের নিচেই লুকিয়ে আছে অনস্বীকার্য মসলা জাতীয় ফসল হলুদ।
নোয়াপাড়া গ্রামের হলুদ চাষিরা জানান, ডিমলা, বারী ও স্থানীয় উন্নত জাতের হলুদের চাষ করে থাকেন তারা। মাস তিনেক আগ থেকেই জমিতে হুলুদ রোপণ করা হয়েছে। ছয় থেকে সাত মাস পরিচর্যা করতে হয়। এরপর পুরো ফলন মিলবে।
হলুদ চাষি খালেদ হোসনে জানান, অন্য ফসলের চেয়ে হলুদ চাষে খরচ কম। তবে মুনাফা ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদ চাষ করে লোকসান গুনতে হয়না। চাষি মনোয়ার হোসেন বলেন হলুদ চাষে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ার কারণে কুমিল্লার অনেকে হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ চাষিদের সবসময় সহযোগিতা, পরামর্শ দিয়ে থাকে। এমনকি মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে কৃষি ঋণ সহযোগিতা কোন চাষি চাইলে আমরা যথাযথ নিয়মে তার ব্যবস্থা করে দিতে প্রস্তুুত আছি।