কুমিল্লায় আসামিকে না পাওয়ায় তার মাকে থানায় তুলে নিয়ে গেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। সাইফুল ইসলামের এক এসআই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবার।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) আদালতে জামিন চেয়েও পাননি ওই নারী।

যদিও পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণেই ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৭ জুলাই উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউপির চান্দপুর গ্রামের মুন্সি মিয়ার ছেলে রবিউল (২৩) এবং একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে বিবি মরিয়ম (১৮) পালিয়ে বিয়ে করেন। মেয়ের প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে গত ২ আগস্ট মেয়ের বাবা জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে জামাইসহ একই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় জামাই রবিউল হোসেন, তার সেজো ভাই আমির হোসেন, বড় ভাই মোস্তফা এবং বোন তাজনেহার বেগমকে আসামি করা হয়। ১ নম্বর আসামি রবিউল ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) ১ নম্বর আসামি রবিউলকে বাড়িতে না পেয়ে তার মা আনোয়ারা বেগমকে (৭০) পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে আমির হোসেন।

ছেলে আমির বলেন, আমার মা বয়স্ক মানুষ, তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত ও এজাহারভুক্ত আসামি না। পুলিশ হয়রানি করার জন্য আমার মাকে গ্রেফতার করেছে। আমার ভাই রবিউলের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নাই।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী জানান, তদন্তে আনোয়ারার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বাসায় রেখে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান। তথ্য গোপন করার দায়ে আনোয়ারাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।