দলে বড় তারকা ক্রিকেটার না থাকলেও মাশরাফীর অধিনায়কত্ব শান্ত-জাকিরদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের উপর ভর করে গত আসরে ফাইনালে উঠেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারও একই পদ্ধতিতে দল গঠন করেছিল তারা। তবে চলতি আসরের টানা তৃতীয় হারের সাক্ষী হয়েছে চায়ের দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুর্দান্ত বোলিং কুমিল্লাকে ১৩০ রানে আটকে দেয় মাশরাফীর দল। ছোট পুঁজি তাড়া করতে নেমে হোচট খায় সিলেট। মাত্র ৭৮ রানের অলআউট হয় তারা। এতে ৫২ রানের জয় পায় কুমিল্লা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট স্ট্রাইকার্স। যার মধ্যে চার উইকেট শিকার করেন আলিস আল ইসলাম। ৪ বলে শূন্য রান করে রান আউটের শিকার হন ওপেনার মোহাম্মদ মিথুন। ৪ রান করে বোল্ড আউট হন সামিত প্যাটেল।
আট বল খেলে মাত্র ১ রান করে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। এরপর আলিসের স্পিন ঘূর্ণি বুঝে ওঠার আগে শান্তর প্যাডে গিয়ে লাগে। ৫ বলে ৫ রান করে আউট হন এই টাইগার ব্যাটার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অজি ব্যাটার বেন কাটিংও। ৮ বলে ১ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। এরপর পিচে এসেই ফেরার পথ ধরেন অধিনায়ক মাশরাফী। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আলিসের চতুর্থ শিকার হন এই তারকা ক্রিকেটার।
তবে পিচের এক প্রান্ত আগলে রাখেন জাকির হাসান। ১৮ বলে ১৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রাইয়ান বার্ল। ৩৪ বলে ৪১ রান করে জাকির আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট।এরপর তানজিম হাসান সাকিব (৪) এবং রিচার্ড এনগ্রাভারা ১ রানের আউট হলে ২২ বল হাতে থাকতেই মাত্র ৭৮ অলআউট হয় সিলেট। এতে ৫২ রানের জয় পায় কুমিল্লা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন আলিস আল ইসলাম। দুই উইকেট শিকার করেন রোস্টন চেজ। এ ছাড়াও ম্যাথিউ ফোর্ড, তানভীর ইসলাম ও খুশদিল শাহ একটি করে উইকেট নেন।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com