কুমিল্লা সদর হাসপাতালে প্রসূতির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে গর্ভের সন্তানের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেখানে ১৪টি সেলাই দিতে হয়। এমনকি চিকিৎসক বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। পরে তা জানাজানি হয়।
গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা নগরীর সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকের বাবা শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের না জানিয়ে নবজাতকের মাথায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুমিল্লা নগরীর আশ্রাফপুর এলাকায় তারা থাকেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার গর্ভবতী স্ত্রী জুলিকে (২০) কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই দিন রাতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে নবজাতককে রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ভেতরে আনলে নবজাতকের মাথায় ১৪টিরও বেশি সেলাই দেখে নবজাতকের মা হাউমাউ করে কান্নাকাটি করলে চিকিৎসক তাদের বুঝিয়ে বলেন, ‘একটু সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আমরা দুঃখিত।’
নবজাতকের বাবা শাহাবুদ্দিন বলেন, ডাক্তাররা অনেকবার আমাদের রিকোয়েস্ট করে বলেছেন, এ ঘটনাটি যাতে বাইরের কাউকে না জানাই। বাচ্চার কোনো সমস্যা হবে না বলে আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, কিছু দিন পর ক্ষত ঠিক হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক জেনিফার শারমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com