ছয় বছরের শিশুসন্তান ও চার স্বজনকে নিয়ে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন তানজিনা এষা। হঠাৎ আগুন লেগে গেলে প্রথমেই নিজের সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।
দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। আগুন থেকে বেঁচে ফেরা তাঁর স্বজনদের ভাষ্যে উঠে এসেছে ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা।
এষার স্বজন সুমাইয়া সাফিনাজ বলেন, ‘চোখের সামনে আগুনের লেলিহান শিখা যখন জ্বলছিল, সবার আগে নিজের সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন এষা৷ নিজ হাতে জানালার কাচ ভেঙে সন্তানকে উদ্ধারকারীদের দিকে ছুড়ে দেন। শুধু তাই নয়, স্বজনদেরও ভবন থেকে বের হতে সহায়তা করেন তিনি। কিন্তু নিজে বাঁচতে পারেননি।’
সুমাইয়া আরও জানান, এষা একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তাঁর একটাই সন্তান। এষার মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে।
বেইলি রোডের বহুতল ভবনের আগুনে এষার মতোই ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪১টি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। স্বজনদের কাছে ৩৮টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পাঁচটি শনাক্ত হয়নি।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com