ফরিদপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন দরিদ্র-মধ্যবিত্ত পরিবারের ৪৮ জন তরুণ-তরুণী। কোনো ধরনের সুপারিশ, ঘুষ ছাড়া এই চাকরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এসব তরুণ-তরুণী। এমন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিনামূল্যে চাকরি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) খুশিতে জড়িয়ে ধরে কান্না করেন অনেক অভিভাবক। বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ৪৮ জন তরুণ-তরুণী চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৪৮ জন ছেলে ও সাতজন মেয়ে প্রাথমিকভাবে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য নির্বাচিত হন।
পরে রাতেই পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে কনস্টেবল পদে ৪৮ জন উত্তীর্ণকে বরণ করে নেয় ফরিদপুর জেলা পুলিশ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া এক তরুণের বাবা বলেন, মেয়েকে নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম। মানুষের কাছে শুনি এখন সরকারি চাকরি নিতে গেলে টাকা লাগে। কিন্তু এখন দেখি সব ধারণা ভুল। মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে যে পুলিশে চাকরি হবে কখনও কল্পনাও করতে পারিনি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার(এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, নিয়োগ বোর্ডের যে-সব সদস্য ছিল সবাই একদম স্বচ্ছ ছিল। যারা সুযোগ পেয়েছেন, সবাই যোগ্য প্রার্থী। মাত্র ১২০ টাকায় নিয়োগ পেয়েছেন তারা। কোনো ধরনের সুপারিশ ও লেনদেনের সুযোগ ছিল না এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য ২ হাজার ১৬২ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। তবে এদের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৭২৮ জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হয়েছিলেন ৪৭২ জন। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ১৮৯ জন থেকে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে ৪৮ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছি। এদের মধ্যে ৪১ পুরুষ ও ৭ জন নারী।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com